Advertisement
Advertisement

Breaking News

ট্রেনের কামরার আদলে বিল্ডিং, পড়ুয়ারা ফিরল কর্ণাটকের স্কুলে

অভিনব ভাবনা প্রধান শিক্ষকের৷

Karnataka ‘train’ like school huge hit among students
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 20, 2018 6:14 pm
  • Updated:July 21, 2018 1:48 pm  

সুব্রত বিশ্বাস: স্কুল নয়, অবিকল ট্রেনের কামরা৷ বিল্ডিংয়ের অভিনব নকশাতেই বাজিমাত৷ পড়ুয়াদের কোলাহলে ফের সরগরম উচ্চ প্রাথমিক স্কুল৷ কর্ণাটকের মাইসুরুর ওই স্কুলে এখন জোরকদমে চলছে পঠনপাঠন৷ পড়ুয়া সংখ্যা ৫৫৷ আগামী দিনে স্কুলে আরও বেশি পড়ুয়া ভরতি হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ব্লকের এডুকেশন অফিসার এম নারায়ণন৷

[ স্ত্রীকে অবহেলা, ৮ অনাবাসী ভারতীয়র পাসপোর্ট বাতিল করল কেন্দ্র]

Advertisement

ইদানিং ছেলেমেয়েদের বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে ভরতি করার প্রবণতা বেড়েছে৷ সরকারি স্কুলগুলি এখন ব্রাত্য৷ পরিস্থিতি এমনই, এ রাজ্যে স্রেফ পড়ুয়ার অভাবে বেশ কয়েকটি স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার৷ একই দশা হয়েছিল কর্ণাটকের মাইসুরুর একটি উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের৷ পড়ুয়া সংখ্যা এতটাই কমে গিয়েছিল, কার্যত বন্ধ হয়ে যেতে বসেছিল স্কুলটি৷ এই পরিস্থিতিতে স্কুলকে বাঁচাতে এক অভিনব উদ্যোগ নেন প্রধান শিক্ষক৷ তাঁকে সাহায্য করেন ওই স্কুলের আরও দু’জন শিক্ষক৷ ঠিক হয়, স্কুল ভবনটিকে ট্রেনের কামরার আদলে সাজিয়ে তোলা হবে৷ যেমন ভাবা, তেমনি কাজ৷ নিজেদের খরচে স্কুল ভবনটিকে ট্রেনের কামরার মতো করে তৈরি করেন ওই তিনজন শিক্ষক৷ এটুকু করেই থামে থাকেননি তাঁরা৷ মাইসুরু থেকে শিল্পীকে আনিয়ে স্কুলভবনটি হুবহু ট্রেনের কামরার মতো রংও করিয়েছেন৷ ফলও মিলেছে হাতেনাতে৷ যে স্কুলে একসময় পড়ুয়াই ছিল না, সেই স্কুলে এখন পড়াশোনা করছে ৫৫ জন৷

স্কুলছুটদের ফের ক্লাসরুমে ফেরাতে সরকারের উদ্যোগ অভাব নেই৷ প্রাথমিক স্কুলগুলিতে পড়ুয়াদের জন্য মিড-ডে মিল চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ কিন্তু, এমন অভিনব ভাবনা আগে কোথাও দেখা যায়নি৷ মাইসুরুর ওই উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য, স্কুলটি একেবারেই প্রত্যন্ত এলাকায়৷ স্থানীয় বাসিন্দারা স্বচক্ষে ট্রেন দেখেননি৷ ট্রেনের সঙ্গে তাঁদের পরিচয় সিনেমায় অথবা ছবিতে৷ তাই স্কুল ভবনটিকে ট্রেনের কামরায় পরিণত করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি৷ স্কুলের ভোলবদলের পর নড়েচড়ে বসেছে স্থানীয় প্রশাসনও৷ আগামিদিনে ওই স্কুলের উন্নয়নে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে পঞ্চায়েত৷ স্থানীয় ব্লক এডুকেশন অফিসার এম নারায়ণনের আশা, স্কুল ভবনের অভিনবত্বের কারণে সন্তানদের এই স্কুলে ভরতি করতে আগ্রহী হবেন অভিভাবকরা৷ স্কুলে আসতে চাইবে পড়ুয়ারাও৷

[নিকাহ হালালার অছিলায় উত্তরপ্রদেশের মিরাটে গৃহবধূকে ধর্ষণ শ্বশুরের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement