সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সরকার এখনও তাঁকে থাকার বন্দোবস্ত করে দিতে পারেনি। এই ‘অজুহাত’ দেখিয়ে দিনের পর দিন প্রায় সাড়ে তিনশো কিলোমিটার পথ সফর করছেন কর্ণাটকের মন্ত্রী এইচডি রেবান্না। বেঙ্গালুরু থেকে হোলেনারাসিপুরা পর্যন্ত রোজ যাতায়াত করেন তিনি। তবে রেবান্না শুধু মন্ত্রী নন। আরও একটি পরিচয় রয়েছে। তিনি মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামীর দাদা।
সরকার তাঁর থাকার বন্দোবস্ত এখনও করে উঠতে পারেনি। তাহলে কেন তিনি বেঙ্গালুরুর পদ্মনাভনগরে তাঁর বাড়িতে থাকছেন না? সেখানে তো তাঁদের পরিবারের একাধিক বাড়ি রয়েছে। সূত্রের খবর, এর পিছনে রয়েছে, জ্যোতিষী। তাঁকে এক জ্যোতিষী বলেছেন, তিনি যেন তাঁর নিজের বাড়িতে না ঘুমোন।
[ জাতীয় সংগীতের অবমাননা, কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের কাণ্ডে বিতর্ক ]
রেবান্না অন্ধের মতো জ্যোতিষ শাস্ত্র বিশ্বাস করেন। তাই জ্যোতিষীর কোনও কথাই তিনি ফেলতে পারেন না। সূত্রের খবর, এক জ্যোতিষীকে খুব মানেন রেবান্না। তিনি মন্ত্রীকে পরামর্শ দিয়েছেন নিজের বাড়িতে ঘুমোনো তাঁর ক্ষেত্রে দুর্ভাগ্য বয়ে আনতে পারে। মন্ত্রিত্ব পাওয়া পর তিনি যেন সরকারের দেওয়া বাড়িতেই থাকেন। যখন তিনি কুমারস্বামী সরকারের মন্ত্রিত্বের পদে শপথ নেন, তখনই জ্যোতিষী এই ‘ভবিষ্যদ্বাণী’ করেন। সেই থেকে রেবান্না এই নিয়ম মেনে চলেন।
তবে নিজের সপক্ষে তাঁর কাছে যুক্তি রয়েছে। তাঁর মতে, তিনি সরকারের কর্মচারী। অতএব সরকার যদি তাঁর থাকার বন্দোবস্ত না করে দিতে পারে, তাহলে কি করা যেতে পারে? যতদিন না কিছু সুরাহা হচ্ছে, ততদিন নিজের জোগাড় তাঁকে নিজেকেই করে নিতে হবে।
[ মানবিকতার নজির, দুর্যোগের দিনে হাজার দরিদ্রকে খাবার বিতরণ ডাব্বাওয়ালাদের ]
রেবান্না চাইছেন, কুমারা পার্ক ওয়েস্টের কাছে তাঁকে বাংলো দিক সরকার। কিন্তু সেখানকার বাংলোটি দখল করে রয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী এইচ সি মহাদেবাপ্পা। তাঁর কাছে আবার বাংলোটি সৌভাগ্যের প্রতীক। তাই তিনি সেখান থেকে নড়ছেন না। তবে তাঁকে সরকারের পক্ষ থেকে তিন মাসের নোটিস দেওয়া হয়েছে। মহাদেবাপ্পা বাড়ি খালি করলে তবেই রেবান্না সেখানে ঢোকার সুযোগ পাবেন। ততদিন হয়তো তিনি এভাবেই যাতায়াত করবেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.