সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বামীর বিরুদ্ধে নিষ্ঠুর ব্যবহার তথা গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ এনেছিলেন দ্বিতীয় স্ত্রী। তিনি দাবি করেন, অসুস্থ হওয়ার পর থেকেই তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছেন স্বামী। যুবকের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতে মামলা করেন তরুণী। তাতে দোষী সাব্যস্ত হন যুবক। যার পর প্রতিকার চেয়ে কর্ণাটক হাই কোর্টের (Karnataka High Court) দ্বারস্থ হন তিনি। শনিবার যুবককে স্বস্তি দিয়ে উচ্চ আদালত জানাল, আইনত বিয়ের প্রমাণ দিতে হবে, নচেত দ্বিতীয় স্ত্রী স্বামীর বিরুদ্ধে নিষ্ঠুরতার মামলা দায়ের করতে পারেন না।
বিচারপতি এস রাচাইয়ার একক বেঞ্চ রায় দেয়, “PW.1 (অভিযোগকারী মহিলা) আবেদনকারীর দ্বিতীয় স্ত্রী হিসাবে বিবেচিত হলে আইপিসি (IPC)-র ৪৯৮-এ ধারার (গার্হস্থ্য হিংসা) অধীনে অপরাধের জন্য আবেদনকারীর বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগ গ্রহণ করা উচিত নয়।” আরও বলেন, স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় স্ত্রীর দায়ের করা অভিযোগ গ্রহণযোগ্য না। নিম্ন আদালতগুলি এই বিষয়ে নীতিগত এবং আইন প্রয়োগে ত্রুটি করেছে৷ অতএব, সংশোধনমূলক হস্তক্ষেপ এই আদালতের জন্য ন্যায়সঙ্গত।
তুমাকারু জেলার বাসন্দিা ৪৬ বছরের কাঁথারাজুর সঙ্গে বছর পাঁচেক আগে বিয়ে হয় অভিযোগকারীর। দ্বিতীয় স্ত্রী ও কাঁথারাজুর এক পুত্রসন্তানও রয়েছে। যদিও তরুণীর দাবি, তিনি পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে অক্ষম হয়ে পড়েন। এর পর থেকেই কাঁথারাজু তাঁর সঙ্গে নিষ্ঠুর ব্যবহার শুরু করেন। মানসিক নির্যাতনের শিকার হন তিনি। ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে নিম্ন আদালতে কাঁথারাজুর বিরুদ্ধে মামলা করেন তরুণী। সেখানে দোষী সাব্যস্ত হন স্বামী। বিচার চেয়ে কর্ণাটক হাই কোর্টে মামলা করেন যুবক।
হাই কোর্টে নিম্ন আদালতের রায় খারিজ করেছে। কারণ ধারা ৪৯৮-এ এর অধীনে দ্বিতীয় স্ত্রী অভিযোগ দায়ের করার অধিকারীই নয়। বিচারপতি জানান, দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে যে অভিযুক্তের আইনত বিয়ে হয়েছে, তা প্রমাণ করতে হবে তরুণীর আইনজীবীকে। যতক্ষণ না প্রতিষ্ঠিত হয় যে তিনি আবেদনকারীর আইনত বিবাহিত স্ত্রী, ততক্ষণ দ্বিতীয় স্ত্রীর গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ গ্রহণযোগ্য নয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.