প্রতীকী ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক মুসলিম (Muslim) কিশোরীর বিয়েকে অবৈধ ঘোষণা করল কর্ণাটকের হাই কোর্ট (Karnataka high court)। সেই সঙ্গে জানিয়ে দিল, শরিয়া আইনে ওই বিয়েকে বৈধ বলে ঘোষণা করলেও যেহেতু পাত্রী নাবালিকা, তাই পকসো (POCSO) অনুসারে তা অবৈধ। ওই কিশোরীর স্বামী জামিনের আরজি জানিয়ে দ্বারস্থ হয়েছিলেন উচ্চ আদালতের। সেই মামলাতেই এই মন্তব্য হাই কোর্টের।
মঙ্গলবার বিচারপতি রাজেন্দ্র বাদামিকারের বেঞ্চে ছিল মামলার শুনানি। ওই কিশোরীর স্বামীর আইনজীবীর যুক্তি ছিল, যেহেতু মেয়েটির বয়স ১৫ বছরের বেশি তাই শরিয়া আইনে এই বিয়ে বৈধ। এবং এটি পকসো তথা ‘প্রহিবিশন অফ চাইল্ড ম্যারেজ অ্যাক্ট, ২০০৬’ আইনকেও লঙ্ঘন করছে না। কিন্তু এই দাবিকে উড়িয়ে দিয়ে বিচারপতি বলেন, পকসো আইন একটি বিশেষ আইন হিসেবে শরিয়া আইনের মতো ব্যক্তিগত আইনকে অতিক্রম করছে। যেহেতু পকসো আইনে বলা রয়েছে কোনও মেয়ের যৌন ক্রিয়ায় লিপ্ত হওয়ার ন্যূনতম বয়স হতে হবে ১৮ বছর।
প্রসঙ্গত, ১৭ বছরের ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয় গত জুনে। ১৬ জুন সে পরীক্ষা করাতে বেঙ্গালুরুর এক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এলে কর্তৃপক্ষই পুলিশে খবর দেয়, যেহেতু মেয়েটি প্রাপ্তবয়স্ক নয়। এরপরই অভিযোগ দায়ের হয় তার স্বামীর বিরুদ্ধে। তবে ওই কিশোরী যে নিজের সম্মতিতেই বিয়ে করেছে তা আদালত মেনে নিয়েছে। অবশেষে অভিযুক্তকে ১ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত জামিনে মুক্তি দেয় আদালত।
উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্ট একটি মামলায় মন্তব্য করে যে, যদি কোনও মুসলিম মহিলার বয়স ১৫ বা তার বেশি হয় এবং সে স্বেচ্ছায় বিয়ে করে তাহলে সেই বিয়ে পকসো আইনের ১২ ধারায় অবৈধ বলে ঘোষণা করা যায় না। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এরপরই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে ‘ন্যাশনাল কমিশন ফর দ্য প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস’ তথা NCPCR।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.