সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাসে উঠেই মোবাইলে লাউড স্পিকারে গান বা ভিডিও চালিয়ে দেওয়া অনেকেরই অভ্যেস। তাঁর সেই কীর্তির জন্য সহযাত্রীরা বিরক্ত হচ্ছেন কিনা, তা নিয়ে তাঁদের মাথাব্যথা নেই। বরং গান বন্ধ করতে বললে শুনতে হয় কটাক্ষ, ”এটা পাবলিক বাস। কারওর অসুবিধা হলে সে নেমে যেতে পারে।” বাসচালক বা বাস কন্ডাক্টরের কাছে অভিযোগ জানিয়েও সুরাহা হয় না। কিন্তু এবার দিন বদলের পালা। বাসে বসে মোবাইলে লাউড স্পিকারে গান চালালেই যাত্রীকে বাস থেকে নামিয়ে দেওয়া হতে পারে। এমনই নির্দেশ দিয়েছে কর্ণাটক হাই কোর্ট (Karnataka High Court)।
কয়েক মাস আগে কর্ণাটক হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। আবেদনকারী জানিয়েছিলেন, বাসের মধ্যে মোবাইল লাউড স্পিকারে জোরে গান বাজানো বা ভিডিও চালানোয় বহু যাত্রীর সমস্যা হয়। বাসের মধ্যে এধরনের কীর্তিকলাপ বন্ধ হওয়া উচিৎ। এবিষয়ে আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আবেদনকারী। সেই আবেদনের ভিত্তিতে আদালত এদিন সিদ্ধান্ত নেয়।
হাই কোর্ট এদিন জানিয়ে দেয়, কর্ণাটক সরকারি বাসে যাত্রীরা লাউড স্পিকারে গান বা ভিডিও চালাতে পারবেন না। কেউ যদি এমন কাণ্ড ঘটায় বাসের কর্মীরা তাঁকে নিষেধ করবেন। তার পরেও যদি যাত্রী কথা না শোনেন, তাহলে তাঁকে বাস থেকে নামিয়ে দিতে পারেন কর্মীরা। হাই কোর্টের এই নির্দেশ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
কর্ণাটকের দূরপাল্লা সরকারি বাসে বহু যাত্রীই মোবাইলের লাউড স্পিকারে গান শোনেন। কেউ কেউ আবার সিনেমাও দেখেন। তাদের এধরনের কাণ্ডকারখানার জেরে বিরক্ত হন বহু যাত্রী। এ নিয়ে বহুবার বাকবিতণ্ডা হয়েছে। এমনকী, হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল। আদালতের নির্দেশে এই প্রবণতা কমবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। যদিও কেউ কেউ বলছেন, ‘রাজ্যে একুশে আইন কার্যকর হল।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.