সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মানুষের জন্য যে আইন লাগু হবে তা পোষ্যের বিবেচিত হবে না। অবলা প্রাণীটির মৃত্যু হলেও। ভারতীয় দণ্ডবিধির (IPC) অধীনে ‘র্যাশ ড্রাইভিং’ (Rash Driving) ধারার বিষয়ে এমনটাই জানাল কর্ণাটক হাই কোর্ট (Karnataka High Court)। শনিবার এই বিষয়ে আদালত জানায়, ধারা ২৭৯ (র্যাশ ড্রাইভিং) অনুযায়ী গাড়ি চালাতে গিয়ে যদি কোনও মানুষের আঘাত লাগে তবেই তা স্বীকৃত, অন্যথায় নয়। এর ফলে মমলা থেকে অব্যাহতির পেলেন প্রাণী দুর্ঘটনায় এক অভিযুক্ত।
র্যাশ ড্রাইভিংয়ের অভিযোগ উঠেছিল বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) বাসিন্দা প্রতাপকুমার জির বিরুদ্ধে। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এলাকার একটি পোষা কুকুর হত্যার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, এক মহিলা তাঁর পোষা কুকুরকে সঙ্গে নিয়ে আবাসিক এলাকা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। ওই সময় প্রতাপ কুমারের এসইউভি গাড়ি (SUV Car) আঘাত করে মহিলার পোষ্য কুকুরটিকে৷ মৃত্যু হয় পোষ্যটির। এর পর মহিলার ছেলে ধীরাজ রাখেজা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন প্রতাপ কুমারের বিরুদ্ধে।
সেই মামলাই চলছিল কর্ণাটক হাই কোর্টে। যেখানে অভিযুক্ত প্রতাপকুমার জির বিরুদ্ধে র্যাশ ড্রাইভিং অভিযোগের আনা হয়েছিল। যদিও আদালতের পর্যবেক্ষণ, কোনও পোষ্য বা প্রাণীর মৃত্যু হলে বা আঘাত লাগলে, তা এই ধারার আওতায় পড়বে না। ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৭৯ ধারাটি শুধু মাত্র মানুষের মৃত্যু বা আঘাতের সঙ্গেই সম্পর্কিত।
কর্ণাটকের হাই কোর্টের এমন মন্তব্যে খুশী নন পশুপ্রেমীরা। তাঁদের বক্তব্য, অধিকাংশ ক্ষেত্রে পথ কুকুরদের মৃত্যুর কারণ র্যাশ ড্রাইভিং। আইন অনুযায়ী দোষীরা তো কোনওভাবে অভিযুক্ত হবেন না। এই বিষয়ে ভাবার সময় এসেছে। আইন পশুকে মানুষের সমান মনে না করলেও পশুর প্রতি মানুষের ভালবাসার হাজার নজির রয়েছে। সম্প্রতি তার মর্মান্তিক উদাহরণ দেখা গেল এরাজ্যেই। দাবি করা হচ্ছে, পোষ্য ছাগলের মৃত্যুশোকে আত্মহত্যা করেছে পূর্ব বর্ধমানের নারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা এক তরুণী। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.