সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে জ্বলে উঠেছে বেঙ্গালুরু। ধর্মের নামে এক রাতে ছারখার হয়ে গিয়েছে ভারতের তথ্যপ্রযুক্তির অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু। যথারীতি তদন্তের অগ্রগতির সঙ্গে বেরিয়ে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ঘটনার নেপথ্যে মৌলবাদী সংগঠন ‘পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া’র হাত থাকার অভিযোগে এবার কর্ণাটকে সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করা দাবি জোরাল হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত মঙ্গলবারের হিংসার ঘটনায় এপর্যন্ত মোট ১৪৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৯ জনের বিরুদ্ধে দু’টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের অনেকেই PFI’র রাজনৈতিক শাখা ‘সোশ্যাল ডেমক্র্যাটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়া’র (SDPI) সদস্য। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসতে ফের সংগঠন দু’টিকে নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছে কর্ণাটক সরকার। এই মর্মে কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানিয়েছে তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেঙ্গালুরু হিংসার এক তদন্তকারী অফিসার জানিয়েছেন, ধৃতরা সকলেই দলের নেতা। তারা চাইলে এই হিংসাত্মক ঘটনা আটকাতে পারত। কিন্তু তা না করে, বিভিন্ন গ্রুপে মেসেজ চলাচালি ও ফোন করে ভিড় জুটিয়ে হামলায় ইন্ধন জুগিয়েছে তারা। অভিযুক্তদের নির্দেশেই ডিজে হাল্লি ও কেজি হাল্লি এলাকায় ভাঙচুর চালায় হামলাকারীরা।
কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই শীর্ষ পুলিশকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাফ জানিয়েছেন, মৌলবাদী সংগঠনগুলিকে নিষিদ্ধ করতে বদ্ধ পরিকর রাজ্য সরকার। গোটা ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। তিনি বলেন, “আমরা PFI ও SDPI’র বিরুদ্ধে সমস্ত তথ্য প্রমাণ জোগাড় করছি। প্রাথমিক তদন্তে এটা সাফ হয়ে গিয়েছে যে এই ঘটনার সঙ্গে তারাই জড়িত। দ্রুত এই সংগঠনগুলিকে নিষিদ্ধ করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।”
বলে রাখা ভাল, ২০০৯ সালে নয়াদিল্লিতে আত্মপ্রকাশ করে PFI-এর রাজনৈতিক সংগঠন SDPI। তার পরের বছরই নির্বাচন কমিশনে নথিবদ্ধ হয় দলটির নাম। উল্লেখ্য, কেরল ও কর্ণাটকে সক্রিয় PFI। লভ জিহাদ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে সংগঠনটির বিরুদ্ধে। এর আগে গত ডিসেম্বর মাসে ম্যাঙ্গালুরু সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের নেপথ্যেও PFI জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.