ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউনে রাস্তায় বেরলেই পুলিশের তাড়া খেতে হচ্ছে। এমন অবস্থায় কীভাবে পুলিশের চোখে ধুলো দেওয়া যায়, সেই ফন্দিই আঁটছিলেন এক ব্যক্তি। ঠিক করেন, রাস্তায় না বেরিয়ে জলপথ ধরে পৌঁছে যাবেন গন্তব্যে। কিন্তু পরিণতি হল মর্মান্তিক। কৃষ্ণা নদীতে তলিয়ে মৃত্যু হল তাঁর।
ঘটনা কর্ণাটকের বিজয়পুরা জেলার। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মালাপা বোমানগি। বয়স ৪৫ বছর। বুধবার বিজয়পুরার অমরগোলের কাছ থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। গত ১২ বছর ধরে উত্তর-পূর্ব কর্ণাটক রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনে (NEKRCT) বাস কনডাক্টর ছিলেন তিনি। পুলিশকে এড়াতে গিয়েই কৃষ্ণা নদীতে ঝাঁপ দেন তিনি। ভেবেছিলেন সাঁতার কেটেই এক কিলোমিটার পথ পেরিয়ে নিজের বাড়ি পৌঁছে যাবেন। কিন্তু ভাগ্য সহায় হল না। গন্তব্যে পৌঁছনোর আগেই জলে ডুবে মৃত্যু হয় তাঁর।
দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউনে গৃহবন্দি মানুষ। অত্যন্ত প্রয়োজন না হলে করোনা মোকাবিলায় প্রত্যেককে বাড়িতে থাকার অনুরোধ জানানো হচ্ছে। এমন কঠিন সংকটের মধ্যেও মালাপা স্ত্রী ও সদ্যোজাত সন্তানকে শ্বশুরবাড়ি থেকে আনতে গিয়েছিলেন। নিজের বাড়ি হুলালি থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে সরুর গ্রামেই ওই ব্যক্তির শ্বশুরবাড়ি। সমস্যায় পড়তে হয় ফেরার পথে। টাঙ্গাড়াগি চেক পোস্টে মাপালা ও তাঁর পরিবারকে আটকায় পুলিশ। সব শুনে স্ত্রী ও সদ্যোজানকে ছেড়ে দিলেও মালাপাকে যেতে দেয়নি তারা। জিজ্ঞেস করা হয়, লকডাউনের মধ্যে তিনি কেউ বাড়ি থেকে বেরিয়েছেন। মৃতের ভাইয়ের অভিযোগ, পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়ান তাঁর দাদা। যার জেরে তাঁকে মারধর করা হয়। যদিও এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ।
সেই চেক পোস্ট থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরেই তাঁর বাড়ি। মাঝরাস্তায় আটকে পড়ে মালাপা ঠিক করেন, বাকি রাস্তা সাঁতরে পার হবেন। যেমন ভাবনা তেমন কাজ। কৃষ্ণা নদীতে ঝাঁপ দেন তিনি। কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছনো হল না। এভাবেই যেন লকডাউন ভাঙার ‘শাস্তি’ ভোগ করতে হল মালাপাকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.