সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে কর্ণাটক বিধানসভায় যে ডামাডোল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে নাটকীয় পরিবর্তন ঘটল মঙ্গলবার৷ কংগ্রেস ও জেডিএস বিধায়কদের গণইস্তফা গ্রহণ করা হবে না বলে জানালেন কর্ণাটক বিধানসভার স্পিকার কে আর রমেশ কুমার৷ বললেন, এভাবে দেওয়া গণইস্তফা গৃহীত হবে না৷ প্রত্যেকের অভিযোগ খতিয়ে দেখে তবেই ইস্তফা গৃহীত হবে৷
[ আরও পড়ুন: হোয়াটসঅ্যাপে ফাঁদ পেতেছে ISI, আধিকারিকদের সতর্ক করল সেনা]
বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের ইস্তফা প্রসঙ্গে এদিন স্পিকার জানান, ‘‘এই বিষয়ে নির্দিষ্ট কিছু আইন রয়েছে৷ আমাকে সেই আইন মেনে চলতে হবে৷ এরপরই আমি কিছু সিদ্ধান্ত নিতে পারব৷ আমাকে নিজের দায়িত্ব পালন করতে হবে৷’’ এখানেই শেষ নয়, এরপর কেআর রমেশ কুমার আরও জানান, ‘‘আইনে বলছে, কোনও বিধায়ক ইস্তফা দিলে, সেই ইস্তফার কারণ যদি স্পিকারের যথাযোগ্য মনে হয়, তবেই তিনি তা গ্রহণ করবেন৷ নয়ত…আমি এখনও জানি না৷ আমি এখনও ভাল করে পড়িনি৷ আমাকে দেখতে হবে…৷’’ একদিকে স্পিকার যখন ইস্তফা গ্রহণ না করার ইঙ্গিত দিয়েছেন, তখনই কুমারস্বামী সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়েছে দুই নির্দল বিধায়ক৷ সূত্রের খবর, বিক্ষুব্ধ ১৩ জন কংগ্রেস-জেডিএস বিধায়কের পথে হেঁটে, ইস্তফা দিয়েছে তাঁরাও৷ ফলে আরও ফাঁপরে পড়েছে দু’দল৷ এখন কর্ণাটকে সরকার টিকিয়ে রাখাই চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে কংগ্রেস-জেডিএসের পক্ষে৷ দফায় দফায় বৈঠক করছে তাঁরা৷ অন্যদিকে এই কর্ণাটক ইস্যুতে মঙ্গলবার সকাল থেকে উত্তাল রাজ্যসভা৷ বিজেপির বিরুদ্ধে সরকার ফেলার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সরব বিরোধীরা৷ যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং৷
[ আরও পড়ুন: ব্রহ্মসের আওতায় ইসলামাবাদ, ভারতীয় ক্রুজ মিসাইলের আতঙ্কে পাকিস্তান ]
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই কর্ণাটক সরকারের টানাপোড়েন বেড়েছে৷ গত সপ্তাহেই পদত্যাগ করেন কংগ্রেস-জেডিএসের ১৩ জন বিধায়ক। পদত্যাগীরা বিজেপির দেওয়া চাটার্ড প্লেনে চেপে মুম্বইয়ের হোটেলে গিয়ে উঠেছেন বলে কংগ্রেসের অভিযোগ। ফলে কর্ণাটকে জোট সরকার পড়ে যাওয়ার অবস্থা তৈরি হয়েছে৷ সংকটের মধ্যে পড়া কর্ণাটকের সরকার বাঁচাতে অভিনব পদক্ষেপ নিয়েছে কংগ্রেস-জেডিএস জোট। বিক্ষুব্ধদের ফেরাতে সোমবারই মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন কংগ্রেসের ২১ জন মন্ত্রীই। পদ ছেড়েছেন জেডিএসের সব মন্ত্রীও। এদের জায়গায় বিদ্রোহী বিধায়কদের মন্ত্রী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্ণাটক সরকার।
K’taka Assembly Speaker, on if resignation of K’taka MLAs have been accepted: I’ve certain rules, ‘ll go by that. Then decision will be taken. I’ve to be responsible. Certain things in law are implied. Office of Speaker should behave responsibly. No time-frame is mentioned there. pic.twitter.com/MwnkskWrn3
— ANI (@ANI) July 9, 2019
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.