সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংসদে পাশ হয়ে দেশজুড়ে কার্যকর হয়ে গেলেও কর্নাটকে কার্যকর করা হবে না ওয়াকফ সংশোধনী আইন! এই মর্মে প্রস্তাব পাশ করাল কর্নাটকের কংগ্রেস সরকার। কর্নাটক সরকারের দাবি, দেশের আমজনতার মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে এই ওয়াকফ আইন প্রত্যাহার করা হোক। এই আইন সংবিধানের মৌলিক ভাবনার পরিপন্থী।
বুধবার কর্নাটক বিধানসভায় আইন এবং পরিষদীয় মন্ত্রী এইচ কে পাটিল ওয়াকফ সংশোধনী আইন বিরোধী প্রস্তাব পেশ করেন। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদে সরব হয় বিজেপি। এই পদক্ষেপকে ‘অসাংবিধানিক’ বলে বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা। প্রায় বিরোধীশূন্য বিধানসভায় প্রস্তাবটি পাশ করিয়ে নেয় কংগ্রেস সরকার। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, “এই সদন সর্বসম্মতিক্রমে দেশের জনতার মতামতকে সম্মান করে ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল, প্রত্যাহারের আর্জি জানাচ্ছে। এই বিল ভারতীয় সংবিধানের মৌলিক নীতির পরিপন্থী।’’
গত বছর আগস্ট মাসে পেশ হয় ওয়াকফ বিল। এই নিয়ে আলোচনার জন্য বিরোধীদের দাবি মেনে যৌথ সংসদীয় কমিটি গড়েছিল সরকার। প্রাথমিকভাবে ওই কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম সপ্তাহেই। কিন্তু নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে রিপোর্ট দিতে না পারায় কমিটির মেয়াদ বাড়ানো হয়। বাজেট অধিবেশনের শেষ দিন পর্যন্ত কমিটিকে সময় দেওয়া হয়। তবে সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই ১৪টি সংশোধনী-সহ ওয়াকফ বিলকে সবুজ সংকেত দেয় কমিটি।
বিরোধীরা দাবি করে, ওয়াকফ সংশোধনীর নামে হিন্দু-মুসলিম বিভাজনের রাজনীতি করছে শাসক দল। বিলটিকে ‘অসাংবিধানিক’ এবং ‘মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপকারী’ বলেও সমালোচনা করা হয়। অন্যদিকে জমিয়তে ইসলামি হিন্দ এবং অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের মতো মুসলিম সংগঠনগুলির মতে, গেরুয়া শিবির দীর্ঘ সময় ধরেই দিল্লি-সহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ওয়াকফ সম্পত্তি দখলের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। সেই কারণেই সংশোধনী বিল পাশ করাতে এত তাড়াহুড়ো।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.