ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর হাতে গোনা কয়েকটা দিন পরই ২৬ জুলাই। দেখতে দেখতে প্রায় আড়াই দশক পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু আজও কার্গিল যুদ্ধ (Kargil War) বারে বারে ঘুরে ফিরে আসে ভারতীয় সেনার স্বর্ণালী সাফল্যের গাথা হয়ে। ১৯৯৯ সালের ‘অপারেশন বিজয়’ নিয়ে কত যে আশ্চর্য ইতিহাস! আরেক বর্ষপূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে সেই ইতিহাসকে স্মরণ করতে বসলে এই প্রশ্নও ওঠে, কেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী (Atal Bihari Vajpayee) বায়ুসেনাকে নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করতে দেননি?
সালটা ছিল ১৯৯৯। মে মাসেও পুরু বরফের আস্তরণে ঢাকা কার্গিলের পাহাড়ি অঞ্চল। সেই সময়ই মেষপালকদের নজরে পরে পাক সেনার সন্দেহজনক গতিবিধির দিকে। ক্রমেই পরিষ্কার হয়ে যায় পাক অনুপ্রবেশকারীরা ১৩০টি অস্থানীয় শিবিরে ঘাঁটি গেড়েছে কার্গিল পাহাড়ে। বিষয়টা জানার পরই ১৯৯৯ সালের ৫ মে সেনার একটি দলকে পাহাড়ে পাঠানো হয়। কিন্তু নির্মমভাবে হত্যা করা হয় তাঁদের। এরপরই সজাগ হয়ে ওঠে নয়াদিল্লি। শত্রুকে কড়া জবাব দেওয়া শুরু করে ভারতীয় সেনা। কার্গিল হয়ে ওঠে ঐতিহাসিক যুদ্ধক্ষেত্র।
২৬ জুলাই যুদ্ধে জয়লাভ করে ভারত। আজও এই দিনটিতেই দেশজুড়ে পালিত হয় উৎসব। পাশাপাশি ওঠে বায়ুসেনার সঙ্গে বাজপেয়ীর কথোপকথনের বিষয়টিও। সেই সময় এদেশের বায়ুসেনা প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন এয়ার চিফ মার্শাল অনিল যশবন্ত টিপনিস। পরবর্তী সময়ে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল বেদপ্রকাশ মালিকের সঙ্গে বাজপেয়ীর বৈঠকের কথা। আলোচনা হয়েছিল বায়ুপথে হেলিকপ্টার ব্যবহার নিয়ে। বাজপেয়ী অনুমতি দিয়েছিলেন। এরপরই তাঁকে প্রশ্ন করা হয় প্রয়োজনে কি বায়ুসেনা নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে যেতে পারে? উত্তরে অত্যন্ত বলিষ্ঠ ভঙ্গিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, কোনওভাবেই নিয়ন্ত্রণরেখা পেরনো যাবে না। ‘অপারেশন সফেদ সাগর’ চালানোর সময় আগাগোড়া যেদিকটা খেয়াল রেখেছিল বায়ুসেনা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.