সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির নির্বাচনকে ভারত বনাম পাকিস্তানের ম্যাচ বলে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। মঙ্গলবার নির্বাচনে হেরে উলটো সুর গাইলেন বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র। বললেন, দিল্লির জনতার মন বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে বিজেপি। একইসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, দিল্লিতে টানা পাঁচবার হারল বিজেপি। যা নিয়ে অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির।
একসময়ে আম আদমি পার্টির বিধায়ক ছিলেন কপিল মিশ্র। পরে কেজরিওয়ালের সঙ্গে বিদ্রোহ করে বিজেপিতে যোগ দেন। ইনিই প্রথম দিল্লির নেতা যিনি সিএএ বিরোধীদের দেশদ্রোহী তকমা দিয়ে গুলি করে মারার নিদান দিয়েছিলেন। যার পুরস্কার স্বরূপ নির্বাচনের টিকিট পান কপিল। প্রচারের সময় ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মন্তব্যের জন্য বিতর্কে জড়ান তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে নোটিস জারি করে নির্বাচন কমিশন। তাঁর বিতর্কিত টুইট টুইটার কর্তৃপক্ষকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় কমিশন। কিন্তু নিজের অবস্থানে অনড় ছিলেন কপিল। কেজরিওয়ালকে পাকিস্তানপন্থী বলে কটাক্ষ করেছিলেন বিজেপি নেতা।
তবে মঙ্গলবার নির্বাচনে হেরে গিয়ে উলটো সুর গাইলেন কপিল। মডেল টাউন কেন্দ্রে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আপ প্রার্থী অখিলেশ পতি ত্রিপাঠীর কাছে ১১,১৩৩ ভোটে হেরে যান কপিল। হারের পর তিনি আপ ও অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘দিল্লির মানুষের মন বুঝতে ব্যর্থ আমরা। এই নিয়ে টানা পাঁচবার দিল্লিতে হারল বিজেপি। কোথাও কোনও সমস্যা হচ্ছে।’ একই অবস্থা হয়েছে আরেক বিজেপি নেতা তেজিন্দর পাল সিং বগ্গার। জেএনইউ কাণ্ডের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে গিয়ে অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন ঐশী ঘোষের পাশে দাঁড়াতেই টুইটারে প্রথম ‘ছপাক’ ছবি বয়কটের ডাক দেন তেজিন্দর। বিজেপির ‘ট্রোল আর্মি’র প্রধান তেজিন্দরও বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য শিরোনামে এসেছেন। কিন্তু নির্বাচনে হরিনগর কেন্দ্র থেকে আপ প্রার্থীর কাছে হেরে যান বিজেপি নেতা।
রাজনৈতিক মহলের বিশ্লেষণ, কপিল-তেজিন্দরের মতো নেতাদের বিতর্কিত মন্তব্য, কেজরিওয়ালকে কুরুচিকর আক্রমণ সাধারণ মানুষ ভালভাবে নেয়নি। এগুলিও ফ্যাক্টর হয়েছে নির্বাচনে। এছাড়া নির্বাচনী প্রচারে বিজেপি নেতারা উন্নয়ন মডেলকে টক্কর দেওয়ার জন্য মেরুকরণের রাজনীতিতে নামেন। যা ব্যুমেরাং হয়েছে বিজেপির জন্য।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.