স্টাফ রিপোর্টার, নয়াদিল্লি: গান্ধীজির জন্মজয়ন্তীতেই কংগ্রেসে যোগ দিতে চলেছেন কানহাইয়া কুমার (Kanhaiya Kumar) ও জিগনেশ মেবানি? এই গুঞ্জন ক্রমশ জোরাল হচ্ছে ২৪ আকবর রোড চত্বরে। গত বুধবার গভীর রাতে দিল্লিতে রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) সঙ্গে দেখা করেন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সভাপতি। তারপর থেকেই তাঁর কংগ্রেসে যোগদানের গুঞ্জন শুরু হয়। যদিও সেদিন কানহাইয়া ও তাঁর দল সিপিআই, দুই পক্ষই বিষয়টিকে উড়িয়ে দেয়। বলা হয়, সেটি ছিল নিছকই সৌজন্য সাক্ষাৎ।
কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই ‘সৌজন্য’ থেকে মিলছে অন্য কিছুর গন্ধ। কংগ্রেস (Congress) সূত্রে জানা যাচ্ছে, গত দু’সপ্তাহে দু’বার রাহুল ও প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে দেখা করেছেন কানহাইয়া। ফোনে অবশ্য এদিনও কিছুই স্বীকার করলেন না তিনি। বললেন, “বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে আমিও সব দেখছি। জানি না, এর ভিত্তি কী?” শুধু বিহারের অনগ্রসর পরিবার থেকে উঠে আসা কানহাইয়াই নন, গুজরাতের দলিত বিধায়ক জিগনেশ মেবানিরও (Jignesh Mevani) কংগ্রেসে যোগদানের পথ ক্রমশ প্রশস্ত হচ্ছে। গত বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থী হিসাবে জয়ী হয়েছিলেন নির্দল প্রার্থী জিগনেশ।
সোমবার পাঞ্জাবের প্রথম দলিত মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে চরণজিৎ সিং চান্নি শপথ নেওয়ার পর তাঁর টুইটে সেই পথ আরও মসৃণ হওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন তিনি। চান্নিকে মুখ্যমন্ত্রী করার সিদ্ধান্তের জন্য কংগ্রেস এবং রাহুল গান্ধীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতে দেখা গিয়েছে গুজরাটের বিধায়ককে। আরও কয়েকজন তরুণ নেতার যোগদানের খবরও আসছে। ভাসছে কাঠুয়া ধর্ষণ কাণ্ডের আইনজীবী দীপিকা সিং রাজাওয়াতের নাম। শোনা যাচ্ছে, আরও বেশ কয়েকজন তরুণ বাম নেতাও আসতে পারেন কানহাইয়ার সঙ্গে।
একসঙ্গে এতজন তরুণ নেতা যদি সত্যিই কংগ্রেসে যোগ দেন, তাহলে চব্বিশের লোকসভার আগে ক্রমশ প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হতে থাকা কংগ্রেসের জন্য সেটা আত্মবিশ্বাস বর্ধক হিসাবে কাজ করতে পারে। এমনিতে গত কয়েক বছরে একের পর এক তরুণ নেতা কংগ্রেস ছেড়েছেন। যা দলের ভাবমূর্তিকে ভালরকম ধাক্কা দিয়েছে। একের পর এক তরুণ নেতাকে দলে টেনে সেই ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার করতে চাইছে দেশের বৃহত্তম বিরোধী দল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.