সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুললেন বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রানাউত (Kangana Ranaut)। সংসদে দাঁড়িয়ে হিমাচল প্রদেশের মান্ডি কেন্দ্রের সাংসদের দাবি, ‘আমার মনে হয় রাহুল গান্ধী ড্রাগস নেন। তাঁর শারীরিক পরীক্ষা হওয়া উচিত।’ কঙ্গনার এহেন বিতর্কিত মন্তব্যে জাতীয় রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
কখনও শিবের অভয় মুদ্রা তো কখনও মহাভারতের চক্রব্যুহ, হিন্দুত্ব অস্ত্রেই সংসদে নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর সরকারকে আক্রমণ শানিয়ে চলেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। এ প্রসঙ্গেই সংসদে ‘শিব কী বারাত’ সংক্রান্ত মন্তব্য করেছিলেন বিরোধী দলনেতা। সেই ইস্যুতেই পালটা তোপ দেগে মঙ্গলবার সংসদে কঙ্গনা রানাউত বলেন, “এই দেশ গণতন্ত্রের দেশ। যেখানে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। এখানে পুরুষ, মহিলা, জাতি, ধর্মের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী বাছাই হয় না। এই ধরনের মন্তব্য দেশের গণতন্ত্রের জন্য অপমানজনক। উনি প্রতিদিন গণতন্ত্রকে অপমান করে চলেছেন। গতকালও সংসদে কমেডি শো হয়েছে।”
একইসঙ্গে কঙ্গনা বলেন, ”গতকাল উনি কী বলছিলেন? ‘শিব কী বারাত’, ‘চক্রব্যুহ’! আমার মনে হয় উনি ড্রাগস (মাদক) নেন। ওনার শারীরিক পরীক্ষা করানো উচিত। যেভাবে উনি সংসদে এই সব বক্তব্য বলে চলেছেন তাতে মনে হয় উনি মদ কিংবা ড্রাগসের নেশায় রয়েছেন। গতকাল ওনার আজগুবি মন্তব্য শুনে আমি আশ্চর্য হয়ে গিয়েছি। কোনও মানুষ সুস্থ অবস্থায় এই ধরনের বক্তব্য পেশ করতে পারেন সংসদে।”
উল্লেখ্য, সংসদে মোদি সরকারকে আক্রমণ শানাতে গিয়ে মহাভারতের চক্রব্যুহর প্রসঙ্গ তুলেছিলেন রাহুল গান্ধী। অভিযোগ করেছিলেন, কৃষক, ছাত্র, ছোট ব্যবসায়ীরা এই চক্রব্যুহে আটকে পড়েছেন। রাহুল বলেন, ২০ জন আধিকারিক মিলে বাজেট তৈরি করেছেন যেখানে দেশের ৭৩ শতাংশ দলিত-আদিবাসী-পিছিয়ে পড়া পড়া জনজাতিদের কেউ নেই। দেশে ধর্মের নামে ঘৃণা ছড়ানো হচ্ছে। যা এই দেশে মতাদর্শ নয়। সব ধর্মের মানুষ এই চক্রব্যুহের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছেন। হিন্দু ধর্মে এর নাম ‘শিব কী বারাত’।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.