Advertisement
Advertisement

Breaking News

Kanchanjunga Express Accident

স্বাধীনতার পর দুর্ঘটনার দায় নিয়ে পদত্যাগ করেছেন দু’জন রেলমন্ত্রী, কাঞ্চনজঙ্ঘার দায় নেবেন বৈষ্ণব?

গত বছরও ওড়িশার বাহানাগায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় ২৯৬ জনের মৃত্যু হয়। তখনও রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।

Kanchanjunga Express Accident: Will Railway Minister Ashwini Vaishnaw take responsibility
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:June 18, 2024 1:44 pm
  • Updated:June 18, 2024 6:21 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘কবচ’ কেন ছিল না? সিগন্যালিং ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে? কাঞ্চনজঙ্ঘার মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর নানা প্রশ্ন, নানা সম্ভাবনার তত্ত্ব উঠে আসছে। সব সম্ভাবনাই একদিকে ইঙ্গিত করছে, রেল দপ্তরের চূড়ান্ত অব্যবস্থা এবং সমন্বয়ের অভাব। স্বাভাবিকভাবেই দাবি উঠছে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের (Ashwini Vaishnaw) পদত্যাগের। কংগ্রেস ইতিমধ্যেই রেলমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে সুর চড়িয়েছে। অশ্বিনী বৈষ্ণব কি সেই দাবি মেনে সরে দাঁড়াবেন? নাকি এই দুর্ঘটনার দায় পুরোপুরি সাধারণ কোনও কর্মী বা আধিকারিকের উপর চাপানো হবে।

ইতিহাস বলছে, এর আগে মাত্র দু’জন রেলমন্ত্রী দুর্ঘটনার দায় নিয়ে পদত্যাগ করেছেন। প্রথমজন লালবাহাদুর শাস্ত্রী। ১৯৫১ থেকে ১৯৫৬ পর্যন্ত রেলমন্ত্রী ছিলেন শাস্ত্রী। এই কয়েক বছরের মধ্যে দু’বার পদত্যাগ করেন তিনি। প্রথমবার অন্ধ্রপ্রদেশের মাহবুবনগরের দুর্ঘটনায় ১১২ জনের মৃত্যুর পর। সেবার শাস্ত্রীর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেননি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু (Jawaharlal Nehru)। কিন্তু ১৯৫৬ সালের নভেম্বরে তামিলনাড়ুর আরিয়ালুরে ফের দুর্ঘটনা হয়। এবার প্রাণ যায় ১৪৪ জনের। ফের পদত্যাগ করেন লালবাহাদুর শাস্ত্রী। এবার শুধু পদত্যাগ করা নয়, সেই সঙ্গে নেহেরুকে পদত্যাগপত্র গ্রহণ করার জন্য ব্যক্তিগতভাবে অনুরোধ করেন সেটা যেন গ্রহণ করা হয়। পদত্যাগপত্রে লালবাহাদুর শাস্ত্রী (Lal Bahadur Shastri) লিখেছিলেন, “আমার মনে হয় আমার মাথা নীচু করে রেলমন্ত্রক থেকে বেরিয়ে যাওয়া উচিত।” দীর্ঘ টানাপোড়েনের সেটি গৃহীত হয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বিয়ের আগে উদ্দাম পার্টি সোনাক্ষী-জাহিরের! শেয়ার করলেন একাধিক ছবি]

এরপর বহু মর্মান্তিক রেল দুর্ঘটনার সাক্ষী থেকেছে দেশ। ১৯৮১ বিহার ট্রেন বিপর্যয়ে পাঁচশোর বেশি মানুষ মারা যান। ১৯৯৫ ফিরোজাবাদ রেল বিপর্যয়ে অন্তত ৩৫৮ জনের মৃত্যু হয়। এমন ছোটবড় বহু দুর্ঘটনা ঘটলেও কোনও রেলমন্ত্রী তার দায় নেননি। এরপর ১৯৯৯ গাইসাল ট্রেন বিপর্যয়ের পর পদত্যাগ করেন আরেক রেলমন্ত্রী। গায়সালের দুর্ঘটনায় ২৯০ জন প্রাণ হারান। এর মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন সেনাকর্মী। সেই ঘটনার দায় নিয়ে পদত্যাগ করেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। এরপরও বহু মর্মান্তিক রেল দুর্ঘটনা ঘটেছে। ২০০২ হাওড়া-নিউ দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস, ২০১০ জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস বিপর্যয়, ২০১৬ ইন্দোর পাটনা দুর্ঘটনার মতো বিপর্যয়ে সব মিলিয়ে পাঁচশোর বেশি মানুষের প্রাণ গিয়েছে। কিন্তু কোনওক্ষেত্রেই ঘটনার দায় নেননি রেলমন্ত্রীরা।

[আরও পড়ুন: পান্নুন খুনের ষড়যন্ত্র! মার্কিন আদালতে নিজেকে ‘নির্দোষ’ দাবি নিখিলের]

এমনকী গত বছরও ওড়িশার বাহানাগায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় ২৯৬ জনের মৃত্যু হয়। তখনও রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তখনও তিনি দায় নেননি। শুধু বাহানাগার দুর্ঘটনা নয়, অশ্বিনীর আমলে রেলে দুর্ঘটনার পরিমাণ অনেক বেড়েছে। গত ৩ বছরেই রেল দুর্ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে প্রায় ৩৭০ জনের। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে অশ্বিনী বৈষ্ণবের কি এবার ঘুম ভাঙবে? কাঞ্চনজঙ্ঘায় দুর্ঘটনার দায় কি তিনি নেবেন?

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement