Advertisement
Advertisement

সবরীমালায় ঢোকার ‘অপরাধ’, শাশুড়ির মারে হাসপাতালে কনকদুর্গা

প্রতিবাদে সরব মহিলা সংগঠনের কর্মীরা৷

Kanakdurga attacked by her mother-in-law
Published by: Sayani Sen
  • Posted:January 15, 2019 6:01 pm
  • Updated:January 15, 2019 8:55 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সমাজের নিয়ম ভাঙাই লক্ষ্য ছিল তাঁর৷ চোখরাঙানিতেও টলেননি৷ শতাব্দী প্রাচীন নিয়মের বেড়াজাল ভেঙে তাই পৌঁছে গিয়েছিলেন সবরীমালায়৷ নিয়ম ভাঙার পর সমাজের বেশিরভাগ মানুষই চলে গিয়েছেন কনকদুর্গার বিপরীতে৷ এই লড়াইয়ের পর পাশে পাননি তাঁর পরিজনদেরও৷ পরিবর্তে কপালে জুটেছে মার৷ শাশুড়ির ‘অত্যাচারে’ আপাতত হাসপাতালই ঠিকানা হয়েছে কনকদুর্গার৷

[লাইনের স্লিপারেও গৈরিকীকরণ, রেলের সিদ্ধান্তে বিতর্ক]

শতাব্দী প্রাচীন সবরীমালায় ঋতুমতী কোনও মহিলা প্রবেশ করতে পারতেন না৷ ২৮ সেপ্টেম্বর এই ইস্যুতে যুগান্তকারী রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট৷ সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী এখন সব বয়সের মহিলারা ঢুকতে পারবেন মন্দিরে৷ এই আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আন্দোলনে সরব হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি৷ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরই ফুঁসছে গোটা কেরল৷ এই আন্দোলনের মাঝেই ২ জানুয়ারির ভোরটা ছিল একেবারে নিয়মভাঙার৷ নতুন বছর শুরুর রাতে পুলিশি প্রহরায় সবরীমালায় ঢোকেন কনকদুর্গা এবং বিন্দু৷ প্রায় ঘণ্টাদুয়েক মন্দিরের ভিতরে ছিলেন তাঁরা৷ সূর্য ওঠার পর ওই দুই মহিলার মন্দিরে ঢোকার কথা যখন ছড়িয়ে পড়ে ততক্ষণে আয়াপ্পার কাছে প্রার্থনা হয়ে গিয়েছে দুই সাহসিনীর৷ আয়াপ্পার মন্দিরে ঢোকার আগে পর্যন্ত কনকদুর্গা এবং বিন্দুর লড়াইটা ছিল নিয়মভাঙার৷ প্রথমে ভেবেছিলেন মন্দিরে একবার ঢুকতে পারলেই বোধহয় শেষ হয়ে যাবে সংগ্রাম৷ কিন্তু না, মন্দিরে ঢোকার পরের দিনগুলিতে ক্রমশই কঠিন হয়ে উঠছে তাঁদের লড়াই৷ সবরীমালায় ঢোকার পর থেকে প্রায় ১৩ দিন নিজের বাড়িতেও ঢুকতে পারেননি তাঁরা৷ গোপন আস্তানায় লুকিয়ে ছিলেন কনকদুর্গা এবং বিন্দু৷ মঙ্গলবার শ্বশুরবাড়িতে আসেন কনকদুর্গা৷ অভিযোগ, মন্দিরে ঢোকার ‘অপরাধে’ শাশুড়ি তাঁকে বেধড়ক মারধর করে৷ মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন তিনি৷ অবস্থা যথেষ্ট আশঙ্কাজনক৷ আপাতত হাসপাতালেই রয়েছেন কনকদুর্গা৷

Advertisement

[অপারেশন থিয়েটারে পড়ে রয়েছেন রোগী, চুম্বনে মত্ত ডাক্তার-নার্স]

নিয়ম ভাঙার লড়াইতে জয়ী হয়েছেন কনকদুর্গা৷ আয়াপ্পার মন্দিরে ঢুকে সমাজের চেনা স্রোতের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন তিনি৷ কিন্তু লড়াকু আজ পরিজনের হাতে নির্যাতিতা৷ এই হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব মহিলা সংগঠনের কর্মীরা৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement