Advertisement
Advertisement

Breaking News

গৃহহীন সবরীমালার ‘অপরাধী’, ঠাঁই হল আশ্রমে

ঈশ্বর ভক্তি অপরাধ, নাকি আদালতের নির্দেশকে মর্যাদা দেওয়া অন্যায়?

Kanaka Durga throws out from her home
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:January 23, 2019 10:36 am
  • Updated:January 23, 2019 10:59 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঈশ্বর ভক্তি অপরাধ, নাকি আদালতের নির্দেশকে মর্যাদা দেওয়া অন্যায়? উত্তরটা এখনও খুঁজে পাননি সাহসিনী কনকদুর্গা। ভক্তির মর্যাদা আর সাহসিকতার পরিচয় দিতে গিয়ে তিনি আজ গৃহহীন। হোমে ঠাঁই নিতে হয়েছে তাঁকে।

সুপ্রিম কোর্ট যবে জানায়, পঞ্চাশ বছরের কমবয়সি মহিলারাও সবরীমালা মন্দিরে ঢুকতে পারবে, তার পরই মনস্থির করে ফেলেছিলেন কনকদুর্গা ও বিন্দু। তারপর ডিসেম্বর মাসে প্রথম মন্দিরে ঢুকতে উদ্যোগ নেন। কিন্তু বিফল হয়ে ফিরে আসতে হয় তাঁকে। তারপর জানুয়ারির প্রথম দিকে সবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করেন তিনি। ভোররাতে মন্দিরে প্রবেশ করেন ওই কনকদুর্গা ও বিন্দু। প্রার্থনা সেরে দিনের আলো ফোটার আগেই চলে যান তাঁরা। ওই ভক্তদের নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন ছিল পুলিশকর্মী।কিন্তু এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই ক্রমাগত হুমকি পেতে থাকেন তাঁরা। পুলিশি নিরাপত্তায় রাখা হয় তাঁদের। পরিস্থিতি হালকা হলে বাড়ি পাঠানো হয় কনকদুর্গা ও বিন্দুকে।

Advertisement

কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে এবার মোদির হাতিয়ার রাজীব গান্ধীর মন্তব্য ]

কিন্তু সেখানেও নিরাপদ ছিলেন না কনকদুর্গা। প্রথমে বিবাদ। তার পর শারীরিক আঘাত এবং হেনস্তা। আর তারও পরে বাড়িতে ঢুকতে না দেওয়া। কেরলের শবরীমালা মন্দিরে সব বয়সি মহিলাদের প্রবেশে সুপ্রিম কোর্ট সবুজ সংকেত দেওয়ার পর যাবতীয় বাধা পেরিয়ে, সফলভাবে মন্দিরে ঢোকার ‘শাস্তি’ হিসাবে শ্বশুরবাড়ির তরফে এমন আচরণই পান কনকদুর্গা। কোঝিকোড় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তিনি বাড়ি ফিরতে চাইলেও আপত্তি জানান তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির অন্যান্যরা। যদিও অন্য একটি সূত্রের খবর, বাড়ি ফিরে কনকদুর্গা দেখেন, তা তালাবন্ধ। ফলে আপাতত তাঁর ঠাঁই হয়েছে পেরিনথলমান্নায়, মহিলাদের একটি হোমে। নাম ‘সখী ওয়ান স্টপ সেন্টার।’ কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় রাখা হয়েছে কনকদুর্গাকে। কনকদুর্গার সঙ্গেই শবরীমালায় পা রাখা আরেক ৫০ অনূর্ধ্বা মহিলা, বিন্দুর জন্যও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সুপ্রিম নির্দেশিকা মেনে সফলভাবে শবরীমালা মন্দিরে ঢুকে পুজো দেওয়ার ‘অপরাধে’ শ্বশুরবাড়িতে হেনস্তার শিকার হন কনকদুর্গা। শাশুড়ি সুমতী আম্মার হাতে প্রহৃত হন তিনি। এর পরই চিকিৎসার জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কোঝিকোড় মেডিক্যাল হাসপাতালে।

সন্তান জন্ম দিতে না পারায় মহিলাকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা স্বামী ও শাশুড়ির ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement