Advertisement
Advertisement
কমলেশ তিওয়ারি

‘খুনিদের ফাঁসি চাই’, যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে দেখা করে দাবি কমলেশের স্ত্রীর

এই খুনের পিছনে এক বিজেপি নেতার হাত আছে বলে অভিযোগ মৃতের মায়ের।

Kamlesh Tiwari's Family Meets Adityanath, Demands Capital Punishment
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:October 20, 2019 3:44 pm
  • Updated:October 20, 2019 3:44 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে দেখা করে দোষীদের ফাঁসির দাবি জানালেন কমলেশ তিওয়ারির স্ত্রী। রবিবার দুপুরে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন খুন হওয়া হিন্দুত্ববাদী নেতার স্ত্রী কিরণ তিওয়ারি-সহ পরিবারের অন্য সদস্যরা। তারপর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কিরণ বলেন, ‘খুনিদের মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়েছি আমরা। সবকিছু শুনে দোষীদের কড়া শাস্তির বিষয়ে তিনি আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।’

[আরও পড়ুন: দিওয়ালি ধামাকা, একলাফে অনেকখানি দাম কমছে বেশ কিছু ব্র্যান্ডেড মদের]

শনিবার কমলেশ তিওয়ারির মা এবং ছেলে এই খুনের পিছনে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতার হাত আছে বলে অভিযোগ করেছিলেন। তারপরই ওই পরিবারের সঙ্গে দেখা করার কথা ঘোষণা করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। গতকাল এই ঘটনার তদন্ত এনআইএ-কে দিয়ে করানোর দাবি জানান মৃত নেতার ছেলে সত্যম তিওয়ারি।

Advertisement

বাবার খুনের সঠিক বিচার চেয়ে ২২ বছরের ওই যুবক বলেন, ‘পুলিশি নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও আমার বাবা খুন হয়েছেন। কিছুদিন আগে তাঁকে ফের হুমকি দেওয়া হয়। এর জন্য লখনউ পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা আরও বাড়ানোর দাবি জানান তিনি। কিন্তু, সে কথা কেউ শোনেনি। তার ফলেই এই ঘটনা ঘটল। বর্তমানে একজন নিরাপত্তা রক্ষী ছিলেন। কিন্তু, যখন আমার বাবাকে খুন করা হয় তখন তিনিও ছিলেন না। বিষয়টি সন্দেহজনক। আমার মনে হয়, এই ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিত।’

[আরও পড়ুন:কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানকে সমর্থনের জের, বাতিল মোদির তুরস্ক সফর]

সত্যমের থেকে আরও কড়া ভাষায় যোগী প্রশাসনের কড়া সমালোচনা করেন কমলেশের মা কুসুমদেবী। তাঁর ছেলেকে খুনের পিছনে স্থানীয় এক বিজেপি নেতার হাত আছে বলে সরাসরি অভিযোগ করেন তিনি। বলেন,
‘আমার ছেলের সঙ্গে সীতাপুরের ওই নেতার একটি মন্দিরের জমি নিয়ে ঝামেলা চলছিল। ওই নেতাই কমলেশকে খুন করিয়েছে।’

যদিও ঠাকুমার এই অভিযোগ মানতে চাননি নাতি সত্যম। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ওই বিজেপি নেতা এবং আমার বাবার মধ্যে একটি মন্দিরের জমি নিয়ে গন্ডগোল চলছিল। এই নিয়ে স্থানীয় আদালতে একটি মামলাও চলছে। আমার ঠাকুমা হয়তো সেই রাগ থেকে ওই নেতার বিরুদ্ধে করছেন। তবে আমি নিশ্চিত তিনি হত্যাকাণ্ডে জড়িত নন।’

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement