প্রতীকী ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আস্থা ভোটের আগেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন কমল নাথ। শুক্রবারই রাজ্যপাল লালজি ট্যান্ডনে কাছে ইস্তফাপত্র জমা দেন। ইস্তাফাপত্রে তিনি লেখেন, “গত দুই সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশে যা হয়েছে তা গণতন্ত্রকে দুর্বল করার নতুন অধ্যায়।”
Kamal Nath has submitted his resignation to Madhya Pradesh Governor Lalji Tandon. His letter states “All that has happened in Madhya Pradesh in the last two weeks is a new chapter in the weakening of democratic principles.” pic.twitter.com/agzKBsdbxh
— ANI (@ANI) March 20, 2020
এদিন আস্থা ভোটের আগে সাংবাদিক বৈঠক করে পদত্যাগের কথা জানান কমল নাথ। সেখান থেকে বিজেপিকে কার্যত তুলোধনা করেন মধ্যপ্রদেশের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, “সরকার ক্ষমতায় আসার প্রথম দিন থেকেই ষড়যন্ত্র করছিল বিজেপি। আমরা মানুষের জন্য কাজ করছিলাম, আর ওরা ক্ষমতা দখলের ছক কষছিল। শেষপর্যন্ত গণতন্ত্রকে হত্যা করল ওরা।” ফলে ১৫ মাসের কংগ্রেস সরকারকে সরিয়ে রাজ্যে ফের একবার ক্ষমতা দখল করতে চলেছে গেরুয়া শিবির।
#MadhyaPradesh CM Kamal Nath: I have decided to tender my resignation to the Governor today. pic.twitter.com/jgaRf6F0K2
— ANI (@ANI) March 20, 2020
বৃহস্পতিবার ১৬ বিদ্রোহী বিধায়কের পদত্যাগপ্তর জমা নেন মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার স্পিকার। তারপর থেকেই কমল নাথের ইস্তফার জল্পনা বাড়ছিল। এদিন দিগ্বিজয় সিংয়ের মন্তব্যের পর ইঙ্গিত আরও স্পষ্ট হয়ে যায়। সেই জল্পনা সত্যি করে শেষমেশ পদত্যাগ করলেন কমল নাথ। ১০৭টি বিধায়ক নিয়ে বিজেপির সরকার গড়ার পথ আরও সোজা হয়ে গেল। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপিকে এক হাত নেন কমল নাথ। তাঁর কথায়, “দেশের মানুষ দেখেছে, কীভাবে বিধায়কদের ‘বন্দী’ করে রাখা হয়েছিল। একদিন সত্যিটা প্রকাশিত হবেই। দেশের মানুষ ওদের ক্ষমা করবে না।” ২০১৮ সালে ডিসেম্বর মাসে মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতায় এসেছিল কংগ্রেস। তখন থেকেই প্রতি ১৫ দিন অন্তর রাজ্যবাসীর জন্য নতুন নতুন প্রকল্প এনেছেন বলে দাবি করেন তিনি। এদিন ‘গণতন্ত্রের হত্যা করল বিজেপি’ বলেও দাবি করেছেন কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা।
হোলির দিন কংগ্রেসের তরুণ তুর্কি জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া-সহ ২২ বিধায়ক বিদ্রোহী পদত্যাগ করেন। এরপরই সংকটে পড়ে কমলনাথের সরকার। প্রাথমিকভাবে ৬ জনের পরত্যাগপত্র গ্রহণ করেছিলেন মধ্যপ্রদেশের স্পিকার। বৃহস্পতিবার রাতে বাকি ১৬ জনের পদত্যাগপত্রও গৃহীত হয়। ফলে কংগ্রেস সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে। মধ্যপ্রদেশের বিধানসভায় ২০৬টি আসন রয়েছে। ২২ জন বিধায়ক পদত্যাগের পর কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা দাঁড়ায় ৯২। এদিকে সরকার গড়তে প্রয়োজন ১০৪ জন বিধায়ক। বিজেপির বিধায়কের সংখ্যা ১০৭ জন। ফলে কমল নাথ পদত্যাগের পর বিজেপির সরকার গঠন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.