Advertisement
Advertisement

Breaking News

টয়ট্রেন

ভাটা পড়েছে পর্যটনে, লকডাউনে পাহাড়ের তৃষ্ণা মেটাচ্ছে টয়ট্রেন

কালকা থেকে শিমলা পানীয় জল জোগান দিচ্ছে 'ওয়াটার ট্রেন'।

Kalka-Shimla toy train now providing water to the needy
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:April 21, 2020 12:01 pm
  • Updated:April 21, 2020 3:02 pm  

সুব্রত বিশ্বাস: করোনা আতঙ্কে প্রকৃতির শোভা বাড়লেও বন্ধ পর্যটন। নৈস্বর্গ জুড়ে এখন শুধুই বাঁচার লড়াই। শামিল রেলও। কালকা-শিমলার মাঝে যে টয়ট্রেন পর্যটক টানতে ব্যস্ত, সেই ট্রেন এখন জীবন বাঁচাতে পানীয় জল টেনে চলেছে। নাম দেওয়া হয়েছে ‘ওয়াটার ট্রেন’।

[আরও পড়ুন: ভারতে কতদিনে তৈরি হবে করোনার প্রতিষেধক? জানিয়ে দিলেন গবেষণা বিভাগের কর্তা]

১৯০৩ সাল থেকে অবিরাম যাত্রী টানার ইতিহাস রয়েছে এর পলকে পলকে। নর্দান রেল জানিয়েছে, কালকা-শিমলার মাঝে এমন বহু অঞ্চল রয়েছে যেখান এই সময়ে চরম জলের অভাব দেখা দেয়। এমন নির্ধারিত অঞ্চলগুলিতে পানীয় জল পৌঁছে দিচ্ছে রেল। উল্লেখ্য, পাহাড়ি সৌন্দর্যের মান বাড়লেও তৃষ্ণা মেটানোর মতো জলের জোগান নেই এই অঞ্চলে। এহেন পরিস্থিতিতে লকডাউনের জেরে পানীয় জলের অভাব চরমে। কালকা থেকে শিমলার দূরত্ব ৯৬ কিলোমিটার। এই দূরত্বে ১০-১২টি জায়গায় ট্রেনটি থেকে জল দেওয়া হচ্ছে। আশপাশ এলাকার মানুষজন সে জল সংগ্রহের পাশাপাশি কিছু জলের ট্যাঙ্কও ভর্তি করে দেওয়া হচ্ছে। একদিন কালকা থেকে ট্রেনটি রওনা দিয়ে শিমলা পৌঁছে পরের দিন ফিরে আসছে।

Advertisement

রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কালকা থেকে ট্রেনটিতে জল তোলা হচ্ছে, মাঝে ৪২ কিলোমিটার দূরত্বে গিয়ে বরোগ ষ্টেশন থেকে প্রাকৃতিক জলাধার থেকে আবার জাল তোলা হচ্ছে। একইরকম ভাবে ফেরার সময় শিমলা থেকে জল তোলা হচ্ছে। বরোগে এসে আবার জল ভরে তা দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। কালকা ও শিমলার মাঝে ১৮টি স্টেশন হলেও জল স্টেশনে দেওয়া হচ্ছে না। প্রত্যন্ত প্রান্তরে জলের অভাব যেখানে তীব্র আকার নিয়েছে, সেইসব অঞ্চলে পথের মাঝেই দাঁড়িয়ে পাইপ দিয়ে জল দেওয়া হচ্ছে। এতকাল যে ট্রেন শুধুই বিনোদনের জন্য শ্রম দিয়েছে, এখন তা জীবন বাঁচাতে জল দিয়ে চলেছে।

[আরও পড়ুন: সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখলে মদের দোকান খোলা যেতেই পারে, মত স্বাস্থ্যমন্ত্রীর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement