সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর্থিক প্রতারণা মামলায় শিল্পপতি কে ডি সিংয়ের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। প্রায় ২৬৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হল তাঁর। বাজেয়াপ্ত সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে সিমলার কুফরির বাংলো, হরিয়ানার পঞ্চকুল্লার জমি। চণ্ডীগড়ে তাঁর প্রতিষ্ঠান অ্যালকেমিস্টের শো-রুমটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কে ডি সিংয়ের বিরুদ্ধে ১৯০০ কোটি টাকা আর্থিক প্রতারণা মামলার চলছে।
অ্যালকেমিস্টের প্রতিষ্ঠাতা, রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কেডি সিংয়ের সংস্থার বিরুদ্ধে বিপুল অংকের আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠে ২০১৩ সালে। ২০১৬য় রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে নারদা স্টিং অপারেশন মামলাতেও নাম ওঠে তাঁর। অ্যালকেমিস্ট গ্রুপের বিরুদ্ধে ২৫ হাজার কোটি টাকা তছরূপের মামলা চলছে। অর্থ সংক্রান্ত তদন্তে ভারপ্রাপ্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের সঙ্গে তদন্ত শুরু করেছে সেবিও। সম্প্রতি সেবির রিপোর্টের ভিত্তিতে কে ডি সিংয়ের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে ইডি সূত্রে খবর।
এবার সেট টপ বক্স না পালটেই বদলে ফেলুন পরিষেবা
জনগণের টাকা নিরাপত্তার সঙ্গে গচ্ছিত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বেশ কয়েকটি সংস্থা খুলেছিল অ্যালকেমিস্ট। পরবর্তী সময়ে নানা ধরণের দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। তদন্তে জানা যায়, সেগুলি সবই ছিল ভুঁইফোড় অর্থলগ্নি সংস্থা। সম্পূর্ণভাবে সেবির অনুমোদনহীন। অ্যালকেমিস্টের বিরুদ্ধে তদন্ত চলাকালীন গত বছরের মাঝামাঝি সময় কলকাতা হাইকোর্টে সেবির তরফে একটি মামলা করা হয়। যাতে বলা হয়, আর্থিক প্রতারণায় অভিযুক্ত কে ডি সিং নিজের বেআইনি অর্থ ইউরোপে পাচার করে সেখানে একটি সংস্থা তৈরির তোড়জোড় চালাচ্ছেন। ইতিমধ্যেই ১০ কোটি মার্কিন ডলার পৌঁছে গিয়েছে সেখানে। প্রয়োজনে তিনি দেশ ছেড়ে যে কোনও সময়ে পালিয়ে যেতে পারেন বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন সেবি কর্তারা। সূত্রের খবর, গ্রিসের সাইপ্রাসে একটি বড় সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে কে ডি সিংয়ের পরবর্তী ব্যবসা শুরু করার প্রাথমিক পর্যায়ও সমাপ্ত। আবেদনে এও জানানো হয়, সাধারণের কাছ থেকে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা আদায় করে নিজের ঘর গোছাচ্ছেন কে ডি সিং।
বিচারপতি নেই, ফের পিছোল অযোধ্যা মামলার শুনানি
গত বছরের শেষের দিকে বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে তাঁর সম্পত্তির বেশ খানিকটা অংশ ‘বেনামি’ বলে চিহ্নিত করেন তদন্তকারীরা। যার মধ্যে রয়েছে কলকাতার ২৫০ কোটি টাকা এবং দুবাইয়ে আরও কয়েকশো কোটি টাকার সম্পত্তি। অ্যালকেমিস্টের আর্থিক লেনদেনের কোনও পাকা নথিপত্র পাওয়া যায়নি। এনিয়ে কে ডি সিংকে সমনও পাঠানো হয় ইডির তরফে। সূত্রের খবর, ইডির কাছে যথাযথ তথ্য, প্রমাণ পেশ করতে পারেননি অ্যালকেমিস্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান। এদিকে, কে ডি সিংয়ের সঙ্গে রাজ্যের শাসকদলের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে গুঞ্জন রয়েছে সবমহলে। অনেকের ধারণা, সেই রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে আর্থিক প্রতারণা মামলা থেকে মুক্ত হতে পারেন রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ। তবে সেই ধারণা যে পুরোপুরি ঠিক নয়, কে ডি সিংয়ের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তর ঘটনা সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.