Advertisement
Advertisement
জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া

কমলনাথের বিরুদ্ধে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি সিন্ধিয়ার, সংকটে মধ্যপ্রদেশ সরকার!

কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্বের সুযোগে আসরে নেমেছে বিজেপি।

Jyotiraditya Scindia threatens to join teachers’ protest against Congress
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:February 15, 2020 9:06 am
  • Updated:February 15, 2020 9:17 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের প্রকাশ্যে মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব। মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের (Kamal Nath) বিরুদ্ধে সরাসরি রাস্তায় নামার হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের প্রভাবশালী কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। কংগ্রেস নেতার হুঁশিয়ারি, দল যদি ইস্তেহারে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে না পারে তাহলে তিনি নিজে রাস্তায় নেমে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করবেন। যা নিয়ে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের অন্দরে।

Jyotiraditya-Scindia
বিতর্কের সূত্রপাত, মধ্যপ্রদেশের আংশিক সময়ের শিক্ষকদের দাবিদাওয়া ঘিরে। বেতনবৃদ্ধি ও স্থায়ীকরণের দাবিতে ভোপালে প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষক গত ২ মাস ধরে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন। এঁদের পাশে দাঁড়িয়ে গুণার প্রাক্তন সাংসদ ঘোষণা করেছেন, তাঁর দলের সরকার যদি অতিথি শিক্ষকদের দাবি পূরণ না করে, তাহলে তিনি নিজে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করবেন। উল্লেখ্য, অতিথি শিক্ষকদের বেতনবৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি কংগ্রেসের ইস্তেহারেই ছিল। কিন্তু, ক্ষমতায় আসার একবছর পরও সে প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেনি কমলনাথ সরকার। এ প্রসঙ্গে সিন্ধিয়া বলছেন, তিনি একাধারে দলের হয়ে ঢাল ও তলোয়ারের কাজ করছেন। তিনি চান, দল ইস্তেহারে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করুক। যাতে কংগ্রেসের ভাবমূর্তি অক্ষু্ন্ন থাকে। আর সরকার যদি তা না করে তাহলে রাস্তায় নেমে আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কংগ্রেস মহাসচিব।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ভারতের অর্থনীতির মূল্য ৩ মিলিয়ন টন! অমিত শাহর মন্তব্যে হাসির রোল নেটদুনিয়ায়]

মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেস আপাতত দুইভাবে বিভক্ত। সিন্ধিয়ার (Jyotiraditya Scindia) তোপের পর কমলনাথ শিবির থেকেও পালটা এসেছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ইস্তেহার প্রকাশ করা হয় পাঁচ বছরের জন্য। পাঁচ বছরের মধ্যে সমস্ত প্রতিশ্রুতি দল পূরণ করবে। রাজ্যের আরেক মন্ত্রী গোবিন্দ সিং বলছেন, সিন্ধিয়াজির উচিত এভাবে বাইরে থেকে কথা না বলে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলা। রাজ্যের আর্থিক অবস্থার কথাও তাঁর ভাবা উচিত।কংগ্রেসের এই অন্তর্দ্বন্দ্বের সুযোগ নিয়ে আসরে নেমেছে বিজেপি। মধ্যপ্রদেশের বিজেপি নেতা তথা বিধায়ক কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলছেন, সিন্ধিয়ার কথাতেই স্পষ্ট, কংগ্রেস ইস্তেহারে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করছে না। 

[আরও পড়ুন: পুলওয়ামা হামলায় আখেরে লাভ কার? বর্ষপূর্তিতে রাহুলের প্রশ্নবাণে বিদ্ধ বিজেপি]

উল্লেখ্য, মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস সরকারের স্থায়িত্ব সুতোয় ঝুলছে। ২৩০ আসনের বিধানসভায় কংগ্রেসের নিজের বিধায়ক সংখ্যা আপাতত ১১৪ জন। দুই বিএসবি, এক সমাজবাদী পার্টি এবং চারজন নির্দলের সমর্থনে ক্ষমতায় আছে তাঁরা। তাঁকে উপেক্ষা করে রাহুল গান্ধী যখন কমলনাথকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করলেন তখন থেকেই অসন্তুষ্ট ছিলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। সেই অসন্তোষ এবার প্রকাশ্যে চলে এল। কংগ্রেস বিধায়কদের মধ্যে অনেকেই সিন্ধিয়া ঘনিষ্ঠ। তাই তিনি যদি কোনওভাবে কমলনাথের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন, সেক্ষেত্রে সরকারের স্থায়িত্ব আরও একবার প্রশ্নের মুখে পড়বে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement