ফাইল ফটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘রাজনৈতিক ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই আদর্শকে ভুলে গিয়েছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া (Jyotiraditya Scindia)।’ বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই মন্তব্যই করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। শুধু তাই নয়, বিজেপিতে জ্যোতিরাদিত্য তাঁর যোগ্য সম্মান পাবেন না বলেও ভবিষ্যৎবাণী করলেন। প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির এই মন্তব্যের পরেই জল্পনা শুরু হয়, তাহলে কী কংগ্রেসে থাকলে কারো কোনও রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নেই?
মঙ্গলবার হোলির দিন দলবদল করেছিলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। কংগ্রেসের সঙ্গে থাকা ১৮ বছরের সম্পর্ক ত্যাগ করেছিলেন একনিমিষে। আর বুধবার দিল্লিতে সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। তবে নতুন দলে যোগ দেওয়ার বিষয়ে মন্তব্য করার থেকে কংগ্রেস নিয়ে আক্ষেপই করতে শোনা গিয়েছিল তাঁকে। অন্যদিকে স্কুলজীবন থেকে বন্ধু থাকা জ্যোতিরাদিত্যের দল থেকে ইস্তফা দেওয়ার জেরে রাহুল গান্ধী প্রচণ্ড আঘাত পান বলে জানা যায় তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে। আসলে সেই স্কুল জীবন থেকে একসঙ্গে পথ চলা শুরু করার পর এতদিন রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সব থেকে কাছের লোকেদের একজন ছিলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তাই তাঁর দলত্যাগের ঘটনা রাহুলকে ব্যথা দিয়েছিল।
যদিও বুধবার সন্ধেয় সিন্ধিয়ার বিজেপিতে যোগদানের পর পনেরো মাস আগের টুইট ফের রিটুইট করেন রাহুল। ওই টুইটটি তিনি করেছিলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে কমলনাথের আসীন হওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার পর। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ও কমলনাথের হাতে হাত জড়ানো ছবি টুইট করে রাহুল উদ্ধৃত করেন লিও টলস্টয়কে, ‘সব থেকে শক্তিশালী দুই যোদ্ধা হল, ধৈর্য ও সময়।’
কিন্তু, বৃহস্পতিবার অন্য সুর শোনা গেল প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির গলায়। নিজের রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্যই জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া আদর্শকে জলাঞ্জলি দিয়েছেন বলেই তোপ দাগেন তিনি। বলেন, ‘সিন্ধিয়া মুখে যা বলছেন আর মনে যা ভাবছেন তার মধ্যে বিস্তর ফারাক আছে। উনি আমার পুরনো বন্ধু। সেই হিসেবে বলতে পারি, উনি নিজের আদর্শকে ভুলে রাজনৈতিক ভবিষ্যৎকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। তবে আমার মনে হয় না বিজেপিতে গিয়ে তিনি সুখে থাকবেন। যোগ্য সম্মান পাবেন বলেও আমার মনে হয় না।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.