সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সরকার গঠন করা মাসখানেকও হয়নি। এর মধ্যেই ধাক্কা খেলেন ঝাড়খণ্ডের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। ঝাড়খণ্ড সরকার থেকে সমর্থন তুলে নিলেন জেভিএম নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাবুলাল মারান্ডি (Babulal Marandi)। জেএমএমের জোটসঙ্গী কংগ্রেস তাঁর দল ভাঙাচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে সরকারের সঙ্গত্যাগ করলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তবে, এতে সরকারের স্থায়িত্ব নিয়ে কোনও সংশয় তৈরি হবে না। কারণ, হেমন্ত সোরেনের সরকার সংখ্যার বিচারে ম্যাজিক ফিগারের থেকে এখনও বেশ খানিকটা উপরে।
গত বছরের শেষের দিকেই বিজেপিকে হারিয়ে ঝাড়খণ্ডে ক্ষমতায় আসে জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি জোট। জেএমএম ২৯, কংগ্রেস ১৮ এবং আরজেডি ১ আসনে জয়ী হয়। অর্থাৎ, জেএমএম নেতৃত্বাধীন জোট একাই ৪৮ আসনে জয়ী হয়, যা সংখ্যাগরিষ্ঠতার থেকে অনেকটাই বেশি। এছাড়াও. একজন এনসিপি, একজন বামপন্থী এবং ২ জন নির্দল বিধায়ক হেমন্ত সোরেনকে সমর্থনের চিঠি দেন। জোট সরকারকে সমর্থন করে বাবুলাল মারান্ডির ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চাও। বিধানসভায় জেভিএম জিতেছিল ৩ আসন।
গত ২৩ জানুয়ারি এই তিন জনের মধ্যে ২ জন দিল্লিতে গিয়ে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন। ওই দুই বিধায়ক প্রদীপ যাদব ও বন্ধু তিরকে কথা বলেন ঝাড়খণ্ড কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক আরপিএন সিংয়ের সঙ্গেও। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই তাঁরা কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার ব্যপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। তাঁদের অভিযোগ, দলের সভাপতি বাবুলাল মারান্ডি গোপনে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।
এদিকে, এই দুই বিধায়ক কংগ্রেসের সঙ্গে যোগাযোগ করায় বেজায় খাপ্পা বাবুলাল মারান্ডি। তিনি মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে চিঠি লিখে জানিয়ে দিয়েছেন, কংগ্রেস তাঁর দল ভাঙানোর চেষ্টা করছে। তাই জেভিএমের পক্ষে এই সরকারকে আর সমর্থন করা সম্ভব নয়। যদিও, বাবুলালের এই চিঠিতে খুব একটা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে না সরকারকে। কারণ, ওই দুই বিধায়ক এখনও মুখ্যমন্ত্রীকে সমর্থন করছেন। জোট ছাড়ছেন শুধু বাবুলাল মারান্ডি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.