Advertisement
Advertisement

সাজা মকুবে রাষ্ট্রপতির দারস্থ কারনানের আইনজীবী

রাষ্ট্রপতির কাছে শীর্ষ আদালতের নির্দেশে স্থগিতাদেশ অথবা সেটি খারিজের আর্জি জানিয়েছেন তিনি।

Justice Karnan approaches President seeking stay on SC order
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 19, 2017 5:40 pm
  • Updated:May 19, 2017 5:40 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আদালত অবমাননার দায়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি চিন্নাস্বামী স্বামীনাথন কারনানকে ছ’মাস জেলের সাজা শুনিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। অবিলম্বে শীর্ষ আদালতের সেই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশের আর্জি জানিয়ে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কাছে পিটিশন জমা দিলেন কারনানের আইনজীবী ম্যাথিউ জে নেথুমপারা। পিটিশনে সংবিধানের ৭২ ধারার কথা উল্লেখ করে নেথুমপুরা রাষ্ট্রপতির কাছে আর্জি জানান, সুপ্রিম কোর্ট গত ৯ মে যে রায় দিয়েছিল সেটি যেন অবিলম্বে খারিজ করে দেওয়া হোক কিংবা তাতে স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক।

[মার্কিন অভিবাসন দপ্তরের হেফাজতে মৃত্যু ভারতীয় প্রৌঢ়ের]

এর আগে গত ৯ মে আদালত অবমাননার দায়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিকে ছ’মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জে এস খেহর-সহ সাত সদস্যের বেঞ্চ। ভারতের ইতিহাসে এই প্রথমবারের জন্য হাইকোর্টের কোনও বিচারপতিকে জেলের সাজা শোনান হয়েছিল। কিন্তু নিজেকে কারনানের আইনজীবী বলে পরিচয় দিয়ে নিথুমপারা বারবার শীর্ষ আদালতের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানান। উল্লেখ্য, এর আগে নিজের বাড়িতে বিশেষ কোর্ট বসিয়ে প্রধান বিচারপতি-সহ সাত বিচারপতির বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা করেছিলেন কারনান। প্রধান বিচারপতি খেহেরকে পাঁচ বছরের জেল এবং এক লক্ষ টাকা জরিমানার সাজা শুনিয়েছিলেন তিনি। যদিও কারনানের ওই রায়ের কোনও গুরুত্বই ছিল না। সুপ্রিম কোর্ট আগেই জানিয়েছিল, কারনানের কোনও নির্দেশই কার্যকর হবে না। এই মর্মে একটি নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছিল। এছাড়া যাবতীয় বিচার প্রক্রিয়া থেকেও তাঁকে দূরে সরিয়ে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি গত ১ মে-র শুনানিতে শীর্ষ আদালত কারনানের মানসিক অবস্থা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল। তাঁর মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষারও নির্দেশ দিয়েছিল। যদিও সেই নির্দেশও মানেননি কারনান।এরপর নিজের বাড়িতে কোর্ট বসিয়েই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের বিরুদ্ধে জেলের সাজা ঘোষণা করেন।

Advertisement

[লক্ষ্মীবাঈ হতে চেয়ে আইনি গেরোয় কঙ্গনা]

প্রসঙ্গত, সি এস কারনান এবং সুপ্রিম কোর্টের মধ্যে এই বিবাদ বহুদিন ধরেই চলছে। কারনানের এক একটি নির্দেশ বারংবার দেশের বিচারব্যবস্থাকে বিড়ম্বনার সম্মুখীন করে তোলে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জে এস খেহেরের নেতৃত্বে গঠিত সাত সদ্যস্যের এই বেঞ্চই বিচারপতি কারনানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার দায়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন৷ দেশের প্রায় ২০ জন বিচারপতির বিরুদ্ধে দুর্নীতিতে লিপ্ত থাকার অভিযোগ এনেছিলেন কারনান৷ এমনকী বিচারব্যবস্থা ও সরকারের কাজের সমালোচনা করে মাদ্রাজ হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে আপত্তিকর ও আক্রমণাত্মক ভাষায় চিঠি লিখেছিলেন বিচারপতি কারনান৷ সেই চিঠি তিনি প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি ও সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে পাঠিয়েছিলেন৷ এরপরই সর্বসম্মতিতে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা শুরু করেছিল শীর্ষ আদালত৷ এই মামলার শুনানিতে একাধিকবার সুপ্রিম কোর্টের তরফে বিচারপতি কারনানকে আদালতে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছিল৷ কিন্তু তিনি হননি। আর তারপরই কারনানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল।

[কয়লা কেলেঙ্কারিতে দোষী সাব্যস্ত প্রাক্তন সচিব-সহ তিন]

উল্টোদিকে কারনানের বক্তব্য ছিল, তিনি দলিত বলে তাঁর সঙ্গে এরকম ব্যবহার করা হচ্ছে। নানাভাবে হেনস্তার শিকার হয়েছেন তিনি। এরপরেই নিজেই বাড়িতে বিশেষ আদালত বসিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি-সহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা শুরু করেন। তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা থেকে শুরু করে উড়ানে বিধিনিষেধ জারি করেন। শেষে জেলের সাজাও শোনান। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁকেই জেলে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।

[মন্দিরের ভিতরে ঢুকে পড়ল ১২ ফুট লম্বা কুমির, তারপর?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement