Advertisement
Advertisement

Breaking News

Delhi riots

দিল্লি দাঙ্গা নিয়ে রায় দিয়ে কেন্দ্রের রোষে! ‘জানি না আমার কী দোষ ছিল’, বলছেন বিচারপতি

কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক প্রাক্তন বিচারপতি।

Judge shunted after Delhi chaos verdict says, Don't know what upset government | Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:October 8, 2023 4:56 pm
  • Updated:October 8, 2023 4:56 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লি দাঙ্গা নিয়ে রায় দেওয়ায় কেন্দ্রের রোষানলে পড়তে হয়েছিল। অবসরের পরই বিস্ফোরক ওড়িশা হাই কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি। পরোক্ষে তাঁর অভিযোগ, দিল্লি দাঙ্গা (Delhi Riot) নিয়ে রায় দেওয়ার পরই দিল্লি হাই কোর্ট থেকে তাঁকে বদলি করে দিয়েছিল কেন্দ্র।

ওড়িশা হাই কোর্টের (Orrisa High Court) প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এস মুরলীধরণ আগস্টেই অবসর নিয়েছেন। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দিল্লি দাঙ্গা নিয়ে ঐতিহাসিক রায় দেন তিনি। মাঝরাতে তাঁর বাসভবনে বসে আদালতের এজলাস। সেসময় দিল্লিতে দাঙ্গা পরিস্থিতি। তাই জরুরি ভিত্তিতে শুনানির বন্দোবস্ত করান তিনি। বিচারপতি মুরলীধরণের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ সেদিন বসেছিল।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করব’, হুঙ্কার নেতানিয়াহুর! হামাস-ইজরায়েল সংঘর্ষে মৃত পাঁচশোর বেশি]

ওই বেঞ্চ মাঝরাতেই দিল্লি পুলিশকে নির্দেশ দেয়, যেভাবেই হোক দাঙ্গা কবলিত এলাকার মানুষকে রক্ষা করতে হবে। দরকারের সম্ভাব্য সব পন্থা অবলম্বন করুক দিল্লি পুলিশ। আসলে ওই দাঙ্গা পরিস্থিতির জন্য সেসময় অনেকেই দিল্লি পুলিশের নিস্ক্রিয়তাকে দায়ী করেন। বিচারপতি মুরলীধরণের বেঞ্চের রায়েও সেটা প্রতিফলিত হয়। তার পরই বিচারপতিকে দিল্লি হাই কোর্ট থেকে পাঞ্জাব-হরিয়ানা হাই কোর্টে (Punjab-Haryana High Court) বদলি করে দেওয়া হয়। স্পষ্টতই, ওই রায়ের জন্য কেন্দ্রের রোষানলে পড়েন বিচারপতি মুরলীধরণ।

[আরও পড়ুন: ‘এখনই বেরিয়ে যান, ফিরহাদ আমাদের ভগবান’, CBI হানার বিরুদ্ধে সরব মেয়র অনুগামীরা]

অবসরের পর সেই ইস্যু নিয়ে মুখ খুললেন বিচারপতি মুরলীধরণ। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলছেন,”আমি জানি না কেন ওরা রেগে গেল। অন্য কোনও বিচারপতি আমার জায়গায় থাকলেও একই কাজ করতেন। দিল্লি হাই কোর্টে আমার যে কোনও সহকর্মী একই কাজ করতেন। জানি না তাতে সরকারের রেগে যাওয়ার কী ছিল?” এর পরই তিনি যোগ করেন,”অবশ্য কে রেগে গেল না গেল, তাতে কিছু এসে যায় না। কারণ বহু মানুষ ওই রায়কেই সঠিক বলে মনে করেন। আমি পরে জানতে পেরেছি ওই রায়ের জন্য বহু মানুষের জীবন বেঁচেছে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement