ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যৌন হেনস্তার অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্তকে আগাম জামিন দিয়েছিলেন কেরলের (Kerala) একটি আদালতের বিচারক। জামিনের পক্ষে তাঁর যুক্তি ছিল, আবেদনকারিণীর পোশাক যৌন আবেদনমূলক। এহেন রায় দেওয়ার ফলে তাঁকে ৩০০ কিমি দূরের একটি আদালতে বদলি করে দেওয়া হয়। কিন্তু ফের বদলির আদেশে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিয়ে দেয় কেরল হাই কোর্ট।
পরপর বেশ কয়েকটি মামলায় বিতর্কিত রায় দিয়েছিলেন ওই বিচারক (Kerala Judge)। তার ফলে কেরলের সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ তৈরি হয়। সেই কারণেই কেরল হাই কোর্ট সিদ্ধান্ত নেয়, বদলি করে দেওয়া হবে ওই বিচারককে। বদলির নির্দেশের বিরোধিতা করে ফের কেরল হাই কোর্টে আবেদন করেন ওই বিচারক। প্রথমে সিঙ্গল বেঞ্চে তাঁর আবেদন খারিজ হয়ে যায়।
কিন্তু শুক্রবার দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, আপাতত বদলির নির্দেশে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেওয়া হচ্ছে। ওই বিচারকের তরফে বলা হয়েছিল, মামলার রায় দেওয়ার ফলে যদি এইভাবে শাস্তির মুখে পড়তে হয়, তাহলে তো নিরপেক্ষভাবে বিচার করাই যাবে না। বিচারকদের মনোবলও ভেঙে যাবে। সেই যুক্তির প্রেক্ষিতেই আপাতত বদলির প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে কেরল হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, লেখক ও সমাজকর্মী সিভিক চন্দ্রনের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। সেখানে চন্দ্রনের আইনজীবী অভিযোগকারিণীর একটি ছবি আদালতে পেশ করেন। যা দেখার পর আদালত মন্তব্য করে, ছবিটি দেখে বোঝা যাচ্ছে, অভিযোগকারিণীর পোশাক যৌন আবেদনমূলক। সুতরাং ৩৫৪এ ধারায় এই মামলাটি দাঁড়াচ্ছে না। সেই সঙ্গে বিচারক এও জানান, অভিযুক্ত চন্দ্রন এতই বৃদ্ধ ও শারীরিক ভাবে অক্ষম যে তাঁর পক্ষে ওই তরুণীর উপরে গায়ের জোর খাটানো সম্ভব নয়। এহেন রায় দেওয়ার ফলে যথেষ্ট বিতর্কের মুখে কেরলের আদালত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.