সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেবির শীর্ষকর্তা মাধবী পুরী বুচের বিরুদ্ধে হিন্ডেনবার্গের নয়া রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই নতুন করে শোরগোল শুরু হয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে। গোটা ঘটনায় বিরাট দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এবার যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্তের দাবি জানালেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। তাঁর বার্তা, ‘যতদিন না যৌথ সংসদীয় কমিটি (JPC) এই ঘটনার তদন্ত না করেছে ততদিন পর্যন্ত সন্দেহ থাকবেই। আর সেই সন্দেহ এটাই যে গত ৭ দশকের প্রচেষ্টায় যে সাংবিধানিক সংস্থা স্থাপন করা হয়েছিল নিজের বন্ধুকে বাঁচাতে সেই সংস্থার সঙ্গে সমঝোতা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।’
সেবির বিরুদ্ধে সরব হয়ে এদিন এক্স হ্যান্ডেলে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে লেখেন, ‘গত বছর আদানির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ হন্ডেনবার্গ তুলেছিল তাতে সুপ্রিম কোর্টের সামনে মোদিজির পরম মিত্রকে ক্লিনচিট দিয়েছিল সেবি। আজ সেই সেবি প্রধানের সঙ্গে আদানিদের সম্পর্ক প্রকাশ্যে চলে এসেছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি বিনিয়োগকারী মধ্যবিত্ত, যারা তাঁদের কষ্টার্জিত অর্থ শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে, তাদের রক্ষা করা প্রয়োজন। কারণ তারা সেবিকে বিশ্বাস করে।’ একইসঙ্গে খাড়গে লেখেন, ‘যতদিন না যৌথ সংসদীয় কমিটির মাধ্যমে এই বিরাট দুর্নীতির তদন্ত হচ্ছে ততদিন মোদিজি তার A1 (গৌতম আদানি) বন্ধুকে সাহায্য করে যাবেন এবং দেশের দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলির দফারফা করতে থাকবেন।’
SEBI ने माननीय सुप्रीम कोर्ट के समक्ष मोदी जी के परम मित्र अडानी को हिंडनबर्ग के जनवरी 2023 के ख़ुलासों में Clean Chit दी थी।
आज उसी SEBI के मुखिया के तथाकथित वित्तीय रिश्ते उजागर हुए हैं।
मध्यम वर्ग से संबंधित छोटे और मध्यम निवेशकों, जो अपनी मेहनत की कमाई शेयर बाजार में…
— Mallikarjun Kharge (@kharge) August 11, 2024
হিন্ডেনবার্গের নয়া রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, যে সেবি আদানিদের ক্লিনচিট দিয়েছে সেই সংস্থার প্রধানও আদানিদের থেকে সুবিধাপ্রাপ্ত। আদানি শিল্পগোষ্ঠীর বিদেশে সরানো টাকায় অংশীদারিত্ব ছিল শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধানের। হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে দাবি করা হয় যে, গৌতম আদানির ভাই বিনোদ আদানির বিদেশে থাকা সংস্থায় অংশীদারিত্ব রয়েছে সেবি প্রধান এবং তাঁর স্বামীর। সেই অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন সেবির শীর্ষকর্তা মাধবী পুরী বুচ। এমকী আদানি গোষ্ঠীও এ অভিযোগ উড়িয়ে দাবি করেছে, সংস্থার সুনাম নষ্ট করতে পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত বছর জানুয়ারিতে মার্কিন শর্টসেলার সংস্থা দাবি করে, নিজেদের ফায়দার জন্য নানাভাবে ভারতের বাজার প্রভাবিত করছে আদানিরা (Adani Group)। মোদি জমানায় আদানি গোষ্ঠীর উত্থানে বড়সড় দুর্নীতির ইঙ্গিত দেয় হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। ওই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই হু হু করতে পড়তে থাকে আদানিদের শেয়ারের দাম। হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টেই বলা ছিল, এর জেরে আদানি গোষ্ঠীর ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত ক্ষতি হতে পারে। শেষ পর্যন্ত সেই পূর্বাভাস মিলেও যায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.