সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশজুড়ে সাম্প্রদায়িক হিংসার প্রতিবাদে বিরোধীরা একজোট হতেই এবার পালটা ফুঁসে উঠলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। তাঁর অভিযোগ, “নিম্নমানের ভোটব্যাংকের রাজনীতি করছে বিরোধীরা। পরিশ্রমী রাজনীতিকে ধ্বংস করার চেষ্টা চলছে। দেশের আত্মাকে শেষ করার চেষ্টা চলছে।” বিজেপি (BJP) সভাপতির বক্তব্য, সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনাকে সামনে রেখে যেভাবে বিরোধী দলগুলি এক ছাতার তলায় আসার চেষ্টা করছে, সেটা আদৌ কতটা আন্তরিক, তা সময় বলবে। কিন্তু নিজেরা একত্রিত হতে গিয়ে ওরা সরাসরি ভারতের আত্মার উপর আঘাত হানছে।
BJP Pres JP Nadda writes to country citizens to “think ahead & plan for how we all feel the nation must be when we mark 100 years of Independence in 2047.”
“Youth of India want opportunities not obstacles & urge opposition to embrace politics of development,” he further writes pic.twitter.com/ljYXOnQh8F
— ANI (@ANI) April 18, 2022
সদ্যই রামনবমীতে (Ram Navami) দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। তার প্রেক্ষিতে দিন তিনেক আগে দেশবাসীর উদ্দেশে খোলা চিঠি লেখেন সোনিয়া গান্ধী-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ প্রথম সারির ১৩ জন বিরোধী নেতা। ওই চিঠিতে সরকারকে তোপ দেগে বিরোধীরা অভিযোগ করেন, খাদ্য, বস্ত্র, ভাষা, ধর্ম, উৎসব এবং সংস্কৃতিকে ব্যবহার করে শাসক শিবির সমাজে মেরুকরণের চেষ্টা করছে। সরকারের বদান্যতায় উসকানিমূলক ভাষণ দেওয়ার পরও অভিযুক্তরা ছাড় পেয়ে যাচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়া এবং সংবাদমাধ্যমে অপপ্রচার করে সমাজে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করে বিরোধী শিবির (Opposition Unity)। সরকারকে আক্রমণ করার পাশাপাশি বিরোধীদের এই চিঠিকে চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে একত্রিত হওয়ার চেষ্টা হিসাবেও দেখা হচ্ছিল।
এদিন তারই পালটা খোলা চিটি লিখলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতিও। চিঠিতে তিনি লিখেছেন,”নরেন্দ্র মোদির সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস এবং সবকা প্রয়াসের নীতিতে যেভাবে ভারত উন্নতির পথে এগোচ্ছে তাতে হতাশ বিরোধীরা। ওদের নিম্নমানের, ভোটব্যাংকের রাজনীতিকে মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। গত ৮ বছরে ভারতের রাজনীতি বদলে গিয়েছে। আজ ভারতে দু’ধরনের রাজনীতি দেখা যাচ্ছে। একদিকে এনডি’র (NDA) উন্নয়নমূলক রাজনীতি, অন্যদিকে কতগুলি বিরোধী দলের নিম্নমানের রাজনীতি। মানুষের কাছে প্রত্যাখ্যাত হয়ে এরা আবার ভোটব্যাংকের রাজনীতি করা শুরু করেছে।” নাড্ডার অভিযোগ, এই হতাশ দলগুলি ফের ভোটব্যাংক এবং বিভাজনের রাজনীতি শুরু করেছে।
এরপরই নাম না করে বিরোধী দলগুলিকে আলাদা আলাদা করে আক্রমণ করেছেন বিজেপি সভাপতি। কংগ্রেস (Congress) জমানায় ঘটে যাওয়া বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনার ফিরিস্তি তুলে ধরেছেন তিনি। রাজস্থানের কারোলের হিংসা নিয়ে কেন চুপ কংগ্রেস? প্রশ্ন তুলেছেন নাড্ডা। তৃণমূল বা বামেদের নাম করলেও বাংলা এবং কেরলে বিজেপির কর্মী সমর্থকদের হত্যা করার অভিযোগ তুলে এই দুই রাজ্যের শাসকদলকেও বিঁধেছেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.