Advertisement
Advertisement

Breaking News

নালা থেকে উদ্ধার ঠাকুরমা ও নাতনির বস্তাবন্দি গলাকাটা দেহ

মৃতরা এক সাংবাদিকের মা ও মেয়ে।

Journalist's Mother, Daughter Killed in Nagpur
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:February 19, 2018 4:48 pm
  • Updated:February 19, 2018 4:48 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:  ঠাকুরমা, নাতনির গলাকাটা বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার হল নালা থেকে। সোমবার সকাল ১০.৩০ মিনিটে ঘটনাটি ঘটেছে নাগপুরে। মৃতদের নাম ঊষা কাম্বলে(৫২) ও রাশি কাম্বলে(১)। মৃতরা স্থানীয় দৈনিকের সাংবাদিক রাবিকান্ত কাম্বলের মা ও মেয়ে। রবিবার সন্ধ্যা ৫.৩০ মিনিটে নাতনিকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন ঊষাদেবী। তারপর তাঁদের আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। নিখোঁজের বিষয়টি জানতে পারেন বাড়ি ফেরার পর।

জানা গিয়েছে, ঊষা কাম্বলে টাকা লেনদেনের ব্যবসা করতেন। এই ব্যবসা সংক্রান্ত ঝামেলার জেরেই খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে অনুমান পুলিশের। ইতিমধ্যেই খুনের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম গণেশ রামবরণ শাহু(২৬)। পবনপুরা নগরের বাসিন্দা এই যুবকের সঙ্গে রবিবার ঊষাদেবীকে দেখা যায়। সন্ধ্যাবেলা চিটফান্ডের টাকা নিয়ে দুজনে তখন ঝগড়া করছিলেন। এই ঝগড়ার জেরেই খুনোখুনি ঘটে।

Advertisement

[ভোটের মুখে অশান্ত মেঘালয়, আইডি বিস্ফোরণে মৃত্যু এনসিপি প্রার্থীর]

পুলিশ জানিয়েছে, শাহুর পবনপুরার বাড়িতেই গিয়েছিলেন ঊষাদেবী। কথা কাটাকাটির সময় কোনওভাবে তিনি সিঁড়ি থেকে পড়ে যান। এরপরেই সুনিপুণ দক্ষতায় তাঁর গলার নলি কেটে দেয় শাহু। এই ঘটনার সময় এক বছরের নাতনি রাশি ঊষাদেবীর সঙ্গেই ছিল। ঠাকুরমাকে মেরে ফেলার সময় চিল চিৎকারে কান্না শুরু করে রাশি। তাই বাধ্য হয়েই শিশুটিকেও খুন করে ওই যুবক। এরপর প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহদুটিকে বস্তায় পুরে বাড়ি থেকে দূরে একটা নালার মুখে ফেলে দেয়।

নাতিকে নিজের কাছেই রাখতেন ঊষাদেবী। রবিবার সন্ধ্যাবেলা স্বামীকে বলেই বাড়ির কাছের গয়নার দোকানে গিয়েছিলেন। নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও দুজনে না ফেরায় ঊষাদেবীকে বারবার ফোন করতে থাকেন তাঁর স্বামী। কিন্তু ফোন সুইচ অফ আসছিল। এরপর সম্ভাব্য সমস্ত জায়গায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। এরমধ্যে ১০.৩০ নাগাদ বাড়িতে ফিরে আসেন রবিকান্ত কাম্বলে। মাও ও মেয়ের নিখোঁজের খবর শুনেই স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নামে পুলিশ। সকালেই শহর লাগোয়া নালা থেকে বস্তাবন্দি দেহ দুটি উদ্ধার হয়। প্রাথমিক তদন্তের পর অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। তারপরেই গ্রেপ্তার হয় গণেশ রামবরণ শাহু। তবে কী কারণে ঊষাদেবী খুন হলেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। তদন্ত শুরু করেছে নাগপুর থানার পুলিশ।

[প্রেমিককে ভিডিও চ্যাটে রেখে হস্টেলের ঘরে আত্মঘাতী এমবিএ ছাত্রী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement