প্রতীকী ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২৮ বছরের সাংবাদিকের দেহ উদ্ধার সেপ্টিক ট্যাঙ্কে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ছত্তিশগড়ে। গুঞ্জন, যে জমিতে ওই সেপ্টিক ট্যাঙ্ক ছিল, সেই জমির মালিকের দুর্নীতিই ফাঁস করেছিলেন মুকেশ চন্দ্রকর নামের ওই সাংবাদিক। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি সেই জন্যই তাঁকে খুন হতে হল? শুক্রবার বিজাপুরে তাঁর দেহ নজরে আসার পর থেকেই ঘনাচ্ছে রহস্য।
১ জানুয়ারি থেকে মুকেশকে পাওয়া যাচ্ছিল না। স্থানীয় এক নিউজ চ্যানেলে কাজ করতেন তিনি। সুরেশ চন্দ্রকর নামের এক কন্ট্রাক্টরের বিরুদ্ধে ১২০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। এটা নিয়েই তদন্ত করছিলেন মুকেশ। দীর্ঘ সময় তাঁর ফোন বন্ধ থাকার পর ওঁর দাদা য়ুকেশ থানায় নিখোঁজ ডায়রি করেন।
জানা গিয়েছে, সুরেশের সঙ্গে তাঁর এক বৈঠকের বন্দোবস্ত করেছিলেন তাঁর ভাই রীতেশ। এর পরই পুলিশ তল্লাশি শুরু করে। শুক্রবার ট্যাঙ্কের ভিতর থেকে মুকেশের দেহ উদ্ধার হয়।
এক সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক জানাচ্ছেন, ”নিহতর ভাই আমাদের কাছে অভিযোগ করেন, ১ জানুয়ারি থেকে মুকেশকে পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা সিসিটিভি খতিয়ে দেখি এবং ওঁকে শেষবার কোথায় দেখা গিয়েছিল সেটা বের করি। আর সেখানে তল্লাশি চালানোর পর সন্ধ্যাবেলা ট্যাঙ্কের ভিতরে ডুবিয়ে রাখা দেহটি উদ্ধার করি।”
ইতিমধ্যেই পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে অভিযুক্ত সুরেশ ও রীতেশকে। একজন হায়দরাবাদ ও অন্যজন দিল্লি থেকে ধরা পড়েন। দেহটি ট্যাঙ্কে ফেলায় অভিযুক্ত যে ব্যক্তি তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি সেখানে শ্রমিকের কাজ করতেন বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও বহু সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এর পিছনে আর কারা কারা জড়িত, খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.