উত্তরপ্রদেশে চরমে ‘গুন্ডারাজ’! ফের প্রকাশ্যে গুলি করে মারা হল সাংবাদিককে

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাংবাদিক বিক্রম জোশীর মৃত্যুর ক্ষত এখনও দগদগে। ভাইঝির শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ করায় ওই সাংবাদিককে প্রকাশ্য রাস্তায় গুলি করে মারা হয়েছিল উত্তরপ্রদেশে। সেই ঘটনার পর একমাসও কাটেনি। যোগীর (Yogi Adityanath) রাজ্যে ফের প্রকাশ্যে গুলি করে মারা হল এক সাংবাদিককে। বালিয়ার (Ballia) এই ঘটনায় তোলপাড় গোটা রাজ্য।

Ballia: A journalist Ratan Singh was shot dead in Phephna village of the dist this evening. SP Devendra Nath says, “He was shot dead at the residence of the village head. It’s being told that they had some old dispute. Investigation is underway. All accused will be arrested soon” pic.twitter.com/qlfCEDFvy0

Advertisement

— ANI UP (@ANINewsUP) August 24, 2020

আরও পড়ুন:

• রাজস্থানে বসুন্ধরা রাজের কনভয়ে বড়সড় দুর্ঘটনা, গাড়ি উলটে আহত ৮ পুলিশকর্মী
• ‘ধর্মে অজ্ঞতাই অত্যাচারের কারণ’, ধর্মগুরুদের সঠিক ব্যাখ্যা দেওয়ার বার্তা RSS প্রধানের

রতন সিং নামের ওই সাংবাদিক একটি হিন্দি খবরের চ্যানেলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সোমবার রাতে বালিয়ার ফেফানা এলাকায় এক পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়ি থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, নিজের সহযোগীর হাতেই মৃত্যু হয়েছে রতনের। ওই সহযোগীর সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরেই বিবাদ চলছিল তাঁর। সোমবার রাতেও দুই পক্ষের মধ্যে বচসা হয়। বিবাদ বাড়তে বাড়তে হাতাহাতির পর্যায়ে চলে যায়। রাগের মাথায় রতনকে গুলি করে দেয় তাঁর সহযোগী। উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) পুলিশের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে সাংবাদিকতার কোনও যোগ নেই। জমি বিবাদের জেরে এই খুন করা হয়েছে।

[আরও পড়ুন: ভারতে হামলার পরিকল্পনা, এবার স্থানীয় গ্যাংগুলিকে হাতিয়ার করার ছক পাকিস্তানের]

আজমগড় জেলার ডিআইজি সুভাষচন্দ্র দুবে জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল থেকেই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে আরও একজন অভিযুক্ত ধরা পড়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। মৃত ব্যক্তি সাংবাদিক হলেও এর সঙ্গে সাংবাদিকতার কোনও যোগ নেই। এটা পুরোটাই জমি বিবাদের জের। কিন্তু মৃতের পরিবার বলছে অন্য কথা। রতন সিংয়ের বাবা বলছেন।”এখানে কোনও সম্পত্তি বিবাদের ব্যাপার নেই। পুলিশ পুরো ব্যাপারটার মোড় ঘোরানোর চেষ্টা করছে।” স্থানীয় এক পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়িতেই এই ঘটনাটি ঘটেছে। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, একজন জনপ্রতিনিধির বাড়িতে এত বড় ঘটনা কী করে ঘটে? রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোথায় পৌঁছে গিয়েছে?