সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বড়সড় ভাঙনের মুখে যোশিমঠ (Joshimath)। পাঁচশোর বেশি বাড়িতে দেখা দিয়েছে ফাটল। যে কোনও সময় ঘটে যেতে পারে বিপর্যয়। অথচ পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েও লাভ হচ্ছে না। সরকার নীরব। এমনই অভিযোগ জানিয়ে ক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন যোশিমঠের বাসিন্দারা।
আন্দোলনের পুরোভাগে রয়েছে ‘যোশিমঠ বাঁচাও সংঘর্ষ সমিতি’। সেই সংগঠনের প্রধান অতুল সতি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় জানিয়েছেন, ”আমরা দ্রুত পুনর্বাসনের দাবি জানিয়ে আসছি গত ১ বছর ধরে। কিন্তু আমাদের কথা কেউ শুনছে না।” তাঁর কথায় কার্যতই আতঙ্কের সুর। অতুলকে বলতে শোনা গিয়েছে, ”যোশিমঠের ভিত ডুবে যাচ্ছে। পাঁচশোরও বেশি বাড়িতে ফাটল দেখা গিয়েছে। মানুষ বাঁশ দিয়ে ঠেকনো দেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু রাজ্য সরকার নীরব।”
উল্লেখ্য, উত্তরাখণ্ডের ছোট্ট পাহাড়ি শহর যোশিমঠ। এটি এমনিতেই ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকায় অবস্থিত। তাই এখানে এর মধ্যে কোনও মাঝারি বা শক্তিশালী ভূমিকম্প হলে যে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি ঘটে যাবে, এমনই আশঙ্কা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে কী ভাবছে উত্তরাখণ্ড প্রশাসন?
সেরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি ইতিমধ্যেই চামৌলির জেলাশাসক হিমাংশু খুরানার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি একটি রিপোর্ট চেয়েছেন। সেটি হাতে এলেই যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে এই আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এদিকে ইতিমধ্যেই বিশেষজ্ঞদের একটি দল এলাকা পরিদর্শন করেছে। তারা জানিয়েছে, সত্য়িই বহু বাড়িতে বড়সড় ফাটল দেখা দিয়েছে। এখন দেখার কবে উত্তরাখণ্ড সরকার এই নিয়ে পদক্ষেপ করে।
প্রসঙ্গত, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬ হাজার ফুটেরও বেশি উঁচুতে অবস্থিত যোশিমঠকে হিমালয় পর্বত আরোহণ অভিযান ও বদ্রিনাথের মতো তীর্থক্ষেত্রগুলির প্রবেশদ্বার ধরা হয়। ২০২১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ভয়াবহ বন্যার সম্মুখীন হয় যোশিমঠ। সেই থেকে সেখানকার বাসিন্দাদের লাগাতার বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হয়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে ফাটল ঘিরে আতঙ্ক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.