সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এই মুহূর্তে আতঙ্কের অপর নাম যোশিমঠ। রিপোর্ট বলছে, মাত্র ১২ দিনেই সাড়ে পাঁচ সেন্টিমিটার ডুবেছে যোশিমঠ! এই অবস্থায় বৃষ্টি-তুষারপাতের ধাক্কায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। এবার সঙ্গে যুক্ত হল ভূমিকম্পের আতঙ্কও। শুক্রবার রাত ২টো নাগাদ কেঁপে ওঠে উত্তরকাশী। তবে রিখটার স্কেলে এর কম্পনের মাত্রা অবশ্য ছিল ২.৯। তবে কার্যত যেহেতু ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে উত্তরাখণ্ডের এই জনপদ, তাই এই কম্পনে তৈরি হয়েছিল আশঙ্কা। তবে শেষ পর্যন্ত কোনও ক্ষয়ক্ষতির কথা জানা যায়নি।
এহেন পরিস্থিতিতে যোশিমঠের (Joshimath) বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। তবে শুক্রবার ক্যাবিনেট বৈঠকে বসে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, দুর্দশাগ্রস্ত পরিবারগুলির কোনও ঋণ থাকলে আগামী ১ বছর তা শোধ করতে হবে না। পাশাপাশি ইলেকট্রিক বিল ও জলের বিলেও ৬ মাস পর্যন্ত মিলবে বিপুল ছাড়।
এদিকে জানা গিয়েছে, ২ জানুয়ারি মধ্যরাতে যোশিমঠের সিং ধরে বহু বাড়ি ধসে গিয়েছে। যদিও কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। তবে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় গত কয়েকদিনে রাতারাতি বহু বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। তবে পরের দিনই ওই এলাকার বাসিন্দাদের একটি সরকারি স্কুলে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
এদিকে ইতিমধ্যেই দু’টি হোটেল-সহ যোশিমঠের একাধিক বাড়ি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে উত্তরাখণ্ড সরকার। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, যোশিমঠের ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী। ক্যাবিনেট মন্ত্রী ও আধিকারিকদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক সেরেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
কিন্তু কেন এহেন বিপদের মুখে পড়তে হল যোশিমঠ? ইতিমধ্যেই পরিবেশবিদদের একাংশ দাবি করেছেন, এনটিপিসি প্রকল্পের কারণেই ধ্বংসের মুখে পড়েছে পুরো যোশিমঠ। জলপ্রকল্পের কাজের জন্য টানেল খুঁড়তে গিয়েই বিপত্তি ঘটেছে। এই অঞ্চলের যা ক্ষতি হয়েছে, তা মেরামত করারও আর সুযোগ নেই। একই সুর উত্তরাখণ্ড আদালতের গলায়। সরকারকে কড়া নির্দেশ দিয়ে বলা হয়েছে, অবিলম্বে যোশিমঠের সমস্ত নির্মাণকাজের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক। এই বিপর্যয়ের কারণ খতিয়ে দেখতে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে। দু’মাসের মধ্যে এই কমিটি রিপোর্ট পেশ করবে বলে জানা গিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.