ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: বন্ধের দিনে সর্বভারতীয় স্তরে পরীক্ষা। জয়েন্ট এন্ট্রান্সের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা থাকায় সমস্যায় বহু ছাত্রছাত্রী। বিভিন্ন রাজ্যের পরীক্ষার্থীরা বুধবারের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন দীর্ঘদিন ধরে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বামপন্থী ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকা সাধারণ ধর্মঘটের জেরে পরীক্ষা বাতিল হওয়ার প্রবল আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। লিখিত বিবৃতি দিয়ে সিটু তা স্বীকারও করে নিয়েছে। কিন্তু এসএফআই এই বিষয়ে নীরব।
সাধারণ ধর্মঘটের নেতৃত্বে থাকা বামপন্থী শ্রমিক সংগঠন সিটুর বক্তব্য, তিন মাস আগে সাধারণ ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত হয়েছিল।তখনই সেকথা কেন্দ্রীয় সরকারকে লিখিতভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়। এমনকী মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রককে চিঠি দিয়ে পরীক্ষার দিন পিছনোর অনুরোধ জানানো হয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্র কোনও ভূমিকা নেয়নি বলে পালটা অভিযোগ তুলেছে সিটু।
বামপন্থী ১৭টি শ্রমিক সংগঠনের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ছিল। এদিকে, জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় ছিল ৭ এবং ৮ তারিখ। তাই সিটুর তরফে সাধারণ সম্পাদক তপন সেন মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকে চিঠি দিয়ে ৮ তারিখের পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার আরজিও জানিয়েছিলেন। কিন্তু তিন মাস আগে সেকথা জানানোর পরও ৮ তারিখের পরীক্ষার দিন বদল হয়নি। তাই সিটু এ নিয়ে কোনও দায় নিতেই নারাজ।
এদিকে, ১৭টি শ্রমিক সংগঠনের ডাকা সাধারণ ধর্মঘটের দিনই দেশজুড়ে ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে এসএফআই। সম্প্রতি জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ এবং এসএফআইয়ের অন্যান্য সদস্যদের উপর নৃশংস হামলার প্রতিবাদে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের এই কর্মসূচি। সর্বভারতীয় পরীক্ষার দিনেই কেন ধর্মঘট ডাকা হল, এ নিয়ে অবশ্য মুখ খুলতে চাননি সংগঠনের কোনও সদস্য। বরং একধাপ এগিয়ে এসএফআই শীর্ষ নেতৃত্বের বক্তব্য, জেএনইউর ঘটনার সঙ্গে এনআরসিও যুক্ত হল। তার প্রতিবাদ তো হবেই। এবার স্কুল-কলেজেও ধর্মঘট হবে। তবে বুধবার সাধারণ ধর্মঘটের জেরে সর্বভারতীয় পরীক্ষায় যে জট, তা নিয়ে কেন্দ্র বনাম বামপন্থীদের তরজা ফের উসকে উঠেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.