Advertisement
Advertisement

Breaking News

জেএনইউ

জেএনইউতে ছাত্র আন্দোলনের চাপে পিছু হঠল কেন্দ্র, ফি বৃদ্ধি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত

তবে এতেও খুশি নন পড়ুয়ারা।

JNU Announces Rollback In Hostel Fee Hike Amid Students' Protests
Published by: Souptik Banerjee
  • Posted:November 13, 2019 7:02 pm
  • Updated:November 13, 2019 7:02 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক : রাজ্য হোক কিংবা কেন্দ্র, ছাত্র আন্দোলনের চাপে বারবার মাথা নত করতে হয়েছে সরকারকে। এবারও সেটাই হল। জেএনইউ’র ছাত্রদের আন্দোলনের চাপে শেষ পর্যন্ত পিছু হঠতেই হল মোদি সরকারকে। হস্টেলের ফি বৃদ্ধি আংশিক প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

ফি বৃদ্ধি আংশিক প্রত্যাহারের কথা কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের অধীন শিক্ষাসচিব আর সুব্রহ্মণ্যম টুইট করে জানিয়েছেন। তিনি টুইটারে লিখেছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কমিটি হস্টেলের ফি বৃদ্ধি অনেকটাই প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ তবে এতেও খুশি নন পড়ুয়ারা। তাঁদের দাবি, বর্ধিত পুরো ফি মকুব করতেই হবে।

Advertisement

[আরও পড়ুন :ঐতিহাসিক রায়, তথ্য জানার অধিকারের আওতায় প্রধান বিচারপতির দপ্তর]

এক লাফে ৩০০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে ফি। ২৫০০ টাকা থেকে ৭০০০ টাকা হয়েছিল ফি। গত ১৫ দিনে ধরে ক্যাম্পাসের মধ্যেই এই নিয়ে প্রতিবাদ দেখাচ্ছিল জেএনইউর ছাত্র সংগঠন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোনও পদক্ষেপ না করায় সোমবার ক্যাম্পাসের বাইরে এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ছাত্ররা। ওই দিন ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের অনুষ্ঠানও। তার মাঝেই ছাত্র বিক্ষোভে উত্তাল হয় দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়। রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। প্রায় ৬০০ ছাত্রছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের সামনে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখান।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাইরে থাকা আন্দোলনকারীদের সমাবর্তন স্থান থেকে ৮০০ মিটার দূরে আটকে দেয় প্রশাসন। সেই সময় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ছিলেন উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নায়ডুও। উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক। কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার চেষ্টা করলে তার গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিক্ষুব্ধ ছাত্রছাত্রীরা। দাবি না মানা পর্যন্ত তাঁরা ঘেরাও তুলবেন না বলে জানিয়েছিল। বিক্ষুব্ধ ছাত্রদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ বাঁধে। জলকামান চালানো হয়। কিছু শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে উপস্থিত হন দিল্লি পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকও। যুগ্ম পুলিশ কমিশনার আনন্দ মোহন-সহ সেখানে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ দেবেন্দ্র আর্যও।

[আরও পড়ুন :সুপ্রিম স্বস্তি পেলেন কর্ণাটকের বিদ্রোহী বিধায়করা, লড়তে পারবেন উপনির্বাচনে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement