মাসুদ আহমেদ, শ্রীনগর: মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল অনন্তনাগ। মঙ্গলবার সকালে অনন্তনাগ জেলার বিজবেহরা এলাকায় সেনার গুলিতে খতম হল ২ জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি। অন্যদিকে তাদের ছোঁড়া গ্রেনেডে শহিদ হলেন এক সেনা জওয়ান।
সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে বিজবেহরা এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছিলেন সেনা জওয়ানরা। একটি জায়গায় দুটি জঙ্গিকে চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলেন তাঁরা। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তাঁদের লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোঁড়ে জঙ্গিরা। এর জেরে জখম হন একজন মেজর। পরে মৃত্যু হয় তাঁর। অন্যদিকে জওয়ানদের গুলিতে খতম হয় দুই জঙ্গি। খতম হওয়া জঙ্গিদের মধ্যে একজনের নাম সাজ্জাদ মকবুল ভাট। প্রশাসন সূত্রে খবর, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সিআরপিএফ কনভয়ে হামলার জন্য বিস্ফোরক ভরতি গাড়িটি জোগাড় করেছিল সাজ্জাদই। আর মৃত অন্য জঙ্গি তাওসিফ ভাট সাহায্য করেছিল আত্মঘাতী জঙ্গি আদিল দারকে।
সোমবার সকালে অনন্তনাগের বাদোরা এলাকায় জঙ্গিদমন অভিযান শুরু করে ১৯ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস, জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ এবং সিআরপিএফ। কিন্তু তল্লাশি শুরু পরেই যৌথ বাহিনীর দিকে ধেয়ে আসে বুলেট। বোঝা যায়, দু-তিনজনের থেকে অনেক বেশি জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে ওই এলাকায়। পালটা গুলি চালায় যৌথ বাহিনীও। গুলির লড়াইয়ে শহিদ হন মেজর ব়্যাঙ্কের একজন অফিসার। গুলিতে খতম হয় এক জঙ্গিও।
অন্যদিকে সন্ধে ছ’টা নাগাদ পুলওয়ামার আরিহাল গ্রামে একটি সেনা কনভয়ে আইইডি বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা। এর জেরে জখম হন ৯ জওয়ান। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামার অবন্তীপোরায় সিআরপিএফ কনভয়ে আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছিল জইশ জঙ্গিরা। সোমবার তার ঠিক ২৭ কিলোমিটার দূরে ফের একই ধাঁচে হামলা চালানোর চেষ্টা হয়।
এপ্রসঙ্গে স্থানীয় এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, “আরিহাল এলাকার রাস্তার ধারে আইইডি পুঁতে রেখেছিল জঙ্গিরা। ৪৪ নম্বর রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের কনভয় যাওয়ার সময় তাতে বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে গাড়িতে থাকা সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে থাকে। এর ফলে ৯ জন জওয়ান জখম হন। তাঁদের শ্রীনগরের সেনা হাসপাতালে ভরতি করা হয়। পরে তাঁদের মধ্যে দু’জন জওয়ানের মৃত্যু হয়।”
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.