সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সর্বদলীয় বৈঠক ডাকলেন জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল এন এন ভোরা। রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে ও পরবর্তী পদক্ষেপ নিতেই এই বৈঠক ডাকেন তিনি।
রাজ্যপালের বাসভবনে এই বৈঠক ডাকা হয় শুক্রবার। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা, জম্মু ও কাশ্মীরের কংগ্রেস প্রধান জি এ মীর ও বিজেপির শরৎ শর্মা। এছাড়া প্রাক্তন ভারতীয় পুলিশ সার্ভিস (আইপিএস) অফিসার বিজয় কুমারও ছিলেন বৈঠকে। তিনি রাজ্যপাল ভোরার উপদেষ্টা হিসেবে যোগদান করেছিলেন। এর আগে তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নিরাপত্তা উপদেষ্টা ছিলেন তিনি। তিনি স্পেশ্যা ল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)-এর প্রধানও ছিলেন। তামিলনাড়ুতে চন্দনদস্যু বীরাপ্পনের বিরুদ্ধে অভিযান তাঁর নেতৃত্বে হয়েছিল। চন্দনদস্যুকে তিনিই খতম করেছিলেন।
[ লঘুপাপে গুরুদণ্ড! আম চুরির অভিযোগে গুলি করে খুন নাবালককে ]
কয়েকদিন আগেই পিডিপির উপর থেকে সমর্থন তুলে নিয়েছে বিজেপি সরকার। প্রায় তিন বছর আচমকা হাত সরিয়ে নেওয়াতে বেশ মুশকিলেই পড়েছিল পিডিপি। এই অবস্থায় পদত্যাগপত্র জমা দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহেবুবা মুফতি। পিডিপি ও বিজেপির বিচ্ছেদ ও মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ নিয়ে তখন গোটা দেশের রাজনৈতিক মহলে ঘোর জল্পনা শুরু হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতে চুপ থাকেননি জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। পুরো বিষয়টিই সাজানো নাটক বলে কটাক্ষ করেন তিনি। এরপরই রাজ্যের শাসনভার চলে যায় রাজ্যপালের হাতে। গত বুধবার থেকেই রাজ্যপালের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর।
[ ‘স্যর, যাবেন না প্লিজ…’, পড়ুয়াদের কাতর আবেদনে চোখে জল শিক্ষকের ]
মুখ্যমন্ত্রী মুফতির পদত্যাগের পর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এখনই নয়া সরকার গঠন হবে বলে মনে হচ্ছে না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিধানসভা ভঙ্গ করা হোক। সদ্য-প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী নিজেই একপ্রকার ঘোড়া কেনাবেচার সম্ভাবনার কথা প্রকাশ করে ফেলেছেন।”
তবে নিজের পিঠ বাঁচাতেই বিজেপি এমন করছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তাদের মতে, সাধারণ নির্বাচনের আগে সুকৌশলে কাশ্মীর কাঁটা এড়িয়ে গেল কেন্দ্র। গত কয়েক মাসে কাশ্মীর আরও অশান্ত হয়েছে। আর গত তিন বছরের হিসেব ধরলে কাশ্মীর শান্ত হওয়া দূরে থাক, বরং মৌলবাদীদের উত্থানই হয়েছে বেশি। জোট সরকারে থেকে সে দায় এড়াতে পারে না বিজেপি। তাই আগেভাগেই পিডিপি-র কাঁধে বন্দুক রেখে নিজেদের সরিয়ে নিল। কাশ্মীরের এই পরিস্থিতির জন্য এখন সব দায় পড়ল মুফতির উপরই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.