সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের বুদগাম জেলার সুস্তু গ্রামে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে খতম হল দুই জঙ্গি। শুক্রবার ভোরে শুরু হওয়া উভয়পক্ষের এই লড়াইয়ে আহত হয়েছেন ৫০ নম্বর রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের চার জওয়ানও। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গুলির লড়াই এখনও চলছে।পাশাপাশি ওই এলাকার একটি বাড়িতে লুকিয়ে থাকা তিন জঙ্গির সন্ধানে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এদিকে আজ ভোর থেকেই সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে পুঞ্চ জেলার কৃষ্ণাঘাঁটি এলাকায় গুলি ও মর্টার ছুঁড়তে শুরু করে পাকিস্তানে সেনা। পালটা জবাব দিচ্ছেন ভারতীয় জওয়ানরাও।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কাশ্মীরের সোপিয়ান-সহ একাধিক এলাকায় জঙ্গিদের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেন ভারতীয় জওয়ানরা। সোপিয়ানের কেল্লার এলাকার ইয়ারওয়ান ফরেস্টে একাধিক জঙ্গি লুকিয়ে আছে বলে গোপন সূত্রে খবর আসে। এরপরই সিআরপিএফ ও ভারতীয় সেনার জওয়ানরা একসঙ্গে অভিযান চালান। তাঁদের সঙ্গে ছিল জন্মু ও কাশ্মীরের পুলিশও। আচমকা সেনা ও পুলিশের যৌথ আক্রমণে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় জঙ্গিরা। ঘটনাস্থলেই ভারতীয় সেনার জওয়ানরা তিন জঙ্গিকে খতম করতে সক্ষম হন। ঘটনাস্থল থেকে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।
[আরও পড়ুন- রাহুলের সঙ্গে দেখা শত্রুঘ্নর, নবরাত্রিতেই ‘হাতে’ হাত রাখবেন শটগান ]
অন্যদিকে উত্তর কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলার হান্দওয়ারায় নিরাপত্তা রক্ষীদের গুলিতে নিকেশ হয় এক জঙ্গি। সোমবার শেরমাল সোপিয়ানে সন্ধান পাওয়া যায় জঙ্গিদের লুকোনো আস্তানার। সেখান থেকে অস্ত্র, প্রচুর জেহাদি কাগজপত্র ও অন্যান্য জিনিসপত্রও বাজেয়াপ্তও করা হয়। পরে ওই আস্তানাটিতে যাতে জঙ্গিরা ফের আশ্রয় নিতে না পারে তাই সেটিকে বোমা মেরে উড়িয়ে দেন নিরাপত্তা রক্ষীরা।
[আরও পড়ুন-জঙ্গি হামলায় সরব, হিন্দুদের ধর্মান্তকরণে চুপ কেন? মালালার ভূমিকায় প্রশ্ন নেটদুনিয়ায়]
গত রবিবার বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পেয়ে শ্রীনগর-বারামুলা হাইওয়ের নারাবাল চেক পয়েন্ট সংলগ্ন এলাকা থেকে তিন জইশ জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে আপত্তিকর কাগজপত্র-সহ অস্ত্র, তাজা কার্তুজ বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.