সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আম্বানি-ঘনিষ্ঠতা নতুন কিছু নয়। বিভিন্ন সময়ে তাঁকে নীতা বা মুকেশ আম্বানির সঙ্গে এক ফ্রেমে দেখা গিয়েছে। তা নিয়ে বিরোধীদের নিন্দারও শেষ নেই। এরই মধ্যে বিরোধীদের হাতে নতুন অস্ত্র তুলে দিল সরকারেরই মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের এমন একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সরকারের ‘ইনস্টিটিউট অব এমিনেন্স’-এর তালিকায় রাখা হল যার কোনও অস্তিত্বই নেই। অর্থাৎ এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরির ব্যপারটি এখনও প্রস্তাবের পর্যায়ে আছে। চালু হওয়া তো দূর কি বাত, এটা কী ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হবে বা কী পড়ানো হবে, তাও জানেনা সাধারণ মানুষ। অথচ এই প্রতিষ্ঠানটিকে এমন একটি তালিকায় রাখা হল যাতে প্রতিষ্ঠানটি মোটা অংকের সরকারি সাহায্য পাবে। মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর টুইট করে জানিয়েছেন এই সংস্থাটি, আগামী ৫ বছরে ১ হাজার কোটি টাকার সরকারি সাহায্য পাবে। শুধু তাই নয়, কার্যত সরকারি সাহায্য চললেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি হবে স্বাধীন এবং স্বয়ংক্রিয়।
Congratulations to @iitbombay & IITDelhi. These are two premier institutes which will also receive government funding because public sector institutes which are granted status of Institutes of Eminence will get govt grant of Rs 1000 crore in next five years. #InstituteofEminence pic.twitter.com/n7NRnjR0Qh
— Prakash Javadekar (@PrakashJavdekar) July 9, 2018
Yet another landmark quality initiative of @narendramodi Government. The #InstituteofEminence are selected by the Experts Panel & today we are releasing list of 6 universities – 3 each in public and private sector. #TransformingEducation #48MonthsOfTransformingIndia @PIB_India
— Prakash Javadekar (@PrakashJavdekar) July 9, 2018
স্বাভাবিকভাবেই শিক্ষা মন্ত্রকের এই সিদ্ধান্তে বিতর্ক ছড়িয়েছে। বিরোধীরা বলছেন, আরও একবার আম্বানিদের সরকারি সুবিধা পাইয়ে দিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। টুইটারে কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হচ্ছে, “আরও একবার মুকেশ আম্বানি এবং নীতা আম্বানিকে সুবিধা পাইয়ে দিল সরকার। যে সংস্থা এখনও দিনের আলো দেখেনি তাদের অতিরিক্ত সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হল। সরকারের উচিত কোন যুক্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা স্পষ্ট করা।”
The BJP Govt favours Mukesh & Nita Ambani yet again. The illusionary JIO Institute which is yet to see the light of day has been declared as an ’eminent’ institute. The Govt needs to clarify the basis of classification for granting such a status.#SuitBootSarkar https://t.co/owxlh7Kgev
— Congress (@INCIndia) July 9, 2018
কংগ্রেসের টুইটের পর টুইটারে নতুন ট্রেন্ড শুরু হয়। রীতিমতো খোরাক হয়ে ওঠে মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের টুইটার হ্যান্ডেল। নতুন হ্যাশট্যাগ তৈরি করে নেটিজেনরা জিও-র প্রস্তাবিত ইনস্টিটিউট নিয়ে নানারকম প্রশ্ন করা শুরু করেন। শেষপর্যন্ত মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, সরকারের গ্রিনফিল্ড প্রজেক্টের অধীনে এই সাহায্য পাচ্ছে জিও বিশ্ববিদ্যালয়। গ্রিনফিল্ড প্রজেক্টের সুবিধা দেওয়া হয় প্রস্তাবিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.