সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রিলায়েন্স জিও-র বিজ্ঞাপনের মুখ নাকি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী৷ দেশের প্রথমসারির সংবাদপত্রে পাতাজোড়া বিজ্ঞাপনের পর এমনটাই মনে করছিলেন আম আদমি৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল৷ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল একাধিকবার অভিযোগ তুলেছেন, দেশের প্রধানমন্ত্রীর ছবি কী করে কোনও বেসরকারি পণ্যের বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করা যেতে পারে? এর পিছনে কোনও গোপন আর্থিক আঁতাত নেই তো? সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা শুরু হয়৷ রিলায়েন্স জিও-র কর্ণধার মুকেশ অম্বানির সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির গোপন সমঝোতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা৷ তাঁদের অভিযোগ ছিল, মুনাফা লুঠতে জিও-কে অবৈধ সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে কেন্দ্র, এবং পুরো বিষয়টি হচ্ছে মোদির অঙ্গুলিহেলনে৷
এরপরই বৃহস্পতিবার যাবতীয় বিতর্ক এবং সমালোচনা থামিয়ে দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফ থেকে৷ সাফ জানিয়ে দেওয়া হল, রিলায়েন্স জিও-কে প্রধানমন্ত্রীর ছবি ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয়নি৷ কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ্যবর্ধন সিং রাঠৌর রাজ্যসভার বিবৃতিতে বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার এ বিষয়ে ওয়াকিবহাল৷ তাঁর সংযোজন, প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে কাউকেই তাঁর ছবি ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়নি৷
তবে প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই তাঁর ছবি ব্যবহার করায় কী শাস্তি হতে পারে সংস্থার? ভারতীয় আইনবিধি অনুযায়ী কোনও ব্যক্তির অনুমতি ছাড়াই তাঁর ছবি বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করা হলে জরিমানা হতে পারে ৫০০ টাকা৷ আর তাই জিও-র বিজ্ঞাপনেও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ব্যবহারের ক্ষেত্রে জরিমানা হতে মাত্র ৫০০ টাকাই৷
নাম ও প্রতীক ব্যবহার আইনের তিন নম্বর ধারায় বলা হয়েছে সরকারি প্রতীক, প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, রাজ্যপাল-সহ প্রায় ৩৬ জন ব্যক্তি ও প্রতীকের নাম ও ছবি বিনা অনুমতিতে বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করা যাবে না৷ আর এই আইনই লঙ্ঘন করেছে জিও সংস্থা৷ যদিও রাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ্যবর্ধন সিং রাঠৌর জানিয়েছেন গোটা বিষয়টি নিয়ে এখনও পর্যন্ত তাঁর কাছে কোনও অভিযোগ জমা পরেনি৷ অভিযোগ আসলে সেই ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.