সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঈশ্বর পরম করুণাময়! তাঁর অসাধ্য কিছুই নেই! তাহলে এই রাঁচি-জামশেদপুর ৩৩ নম্বর জাতীয় সড়কে তাঁর প্রভাব খাটে না কেন?
ঈশ্বরের নামে কালি ছিটাবার আগে একটু ঘটনাটা জানা দরকার! কী এমন ঘটনা ঘটে এই সড়কে যে বিপদে ঈশ্বরও পাশে থাকেন না?
রাঁচি-জামশেদপুর ৩৩ নম্বর জাতীয় সড়ক মৃত্যুমিছিলের জন্য কুখ্যাত। নকশালদের উপদ্রবের জন্য নয়। অপার্থিব কোনও শক্তি সন্ধে ঘনালেই এই সড়কপথে যাত্রীদের বিপদে ফেলে। বছরের পর বছর ধরে একই ঘটনা ঘটছে, কিন্তু কোনও প্রতিকার হয়নি!
স্থানীয়রা বলেন, এই সড়কপথে শক্তি বিস্তার করে রেখেছে কোনও অশুভ সত্তা। অনেকেই রাত নামলে এই সড়কপথে দেখেছেন সাদা শাড়ি পরা, বেশ লম্বা এক রমণীকে। সে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে পথের মাঝে। গাড়ি এলে পথ ছেড়ে দেয় না।
বলাই বাহুল্য, এই রমণীটিকে পাশ কাটাতে গিয়েই দুর্ঘটনার মুখে পড়েছেন বহু যাত্রী। এবং প্রতিটি ক্ষেত্রেই উদ্ধার হয়েছে তাঁদের মৃতদেহ। কেউই বেঁচে ফেরেননি।
অনেকে বলেন, মাঝে মাঝে দেখা যায় এই রমণীটির মাথা লম্বা হতে হতে গিয়ে ঠেকে গাছের ডালে! এই ভয়াবহ দৃশ্য দেখেও অনেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা এবং তার পরে মৃত্যুর শিকার হন!
তাই এই সড়কের দুই মুখে স্থাপিত হয়েছে দুটি মন্দির। জামশেদপুরের দিক থেকে এলে বনদেবী মন্দির এবং রাঁচির দিক থেকে এলে তাইমারা ঘাটি হনুমান-কালী মন্দির। সাধারণত যাত্রীরা এই সড়কে যাতায়াতের আগে যিনি যে দিক থেকে আসছেন, সেই দিকের মন্দিরে গাড়ি থামিয়ে, প্রণামী এবং পুজো দিয়ে তার পর রওনা দেন!
তাতেও অবশ্য বিপদ যায় না! ঈশ্বরও কেন সহায় হন না, তার উত্তর কারও কাছেই নেই!
যদিও প্রশাসন নিজের মতো করে একটা ব্যাখ্যা দিচ্ছে এই দুর্ঘটনার! প্রশাসনিক তরফে দাবি, চালকদের বেপরোয়া মনোভাব এবং উঁচু-নিচু পথের জন্যই দুর্ঘটনা ঘটে!
তার পরেও প্রশ্ন থেকেই যায়!
যে রমণীটির কথা স্থানীয়রা বলে থাকেন, তাকে অনেকেই চাক্ষুষ করেছেন। দেখেছেন তাইমারা ঘাটি হনুমান-কালী মন্দিরের প্রধান পুরোহিত সুরেশ সিং বিঞ্জিয়া। দেখেছেন তাইমারা ঘাটি পুলিশ পোস্টের নৈশরক্ষী বিনোদ সোয়াসিও!
তাহলে?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.