Advertisement
Advertisement

Breaking News

হেমন্ত সোরেন লালুপ্রসাদ যাদব

হাতিয়ার করোনা! লালুপ্রসাদকে জেল থেকে মুক্তি দিতে মরিয়া ঝাড়খণ্ড সরকার

বিধানসভা নির্বাচনে সমর্থনের প্রতিদান? উঠছে প্রশ্ন।

Jharkhand Seeking Legal Advice About Releasing Lalu Yadav On Parole
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:April 14, 2020 5:21 pm
  • Updated:April 14, 2020 5:21 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঝাড়খণ্ডে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বাড়তেই আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদবের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী মনে করছেন, এই পরিস্থিতিতে লালুপ্রসাদের মতো ভিআইপিকে হাসপাতালে রাখা ঠিক হবে না। তাই,বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে অন্তত কিছুদিনের জন্য প্যারোলে মুক্তি দেওয়া যায় কিনা, তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে ঝাড়খণ্ড সরকার।

Advertisement

পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে দোষী সাব্যস্ত হয়ে ১৪ বছরের কারাদণ্ডের সাজা ভোগ করছেন প্রাক্তন রেলমন্ত্রী। ২০১৭ সালের শেষদিক থেকে রাঁচি সেন্ট্রাল জেলেই আছেন তিনি। তবে মাঝে মধ্যেই শারীরিক অসুস্থতার জন্য হাসপাতালে ভরতি হতে হয় লালুকে (Lalu Prasad Yadav)। আপাতত তিনি ভরতি রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে (Rajendra Institute of Medical Sciences)। রাঁচির এই হাসপাতালটিতেই চিকিৎসা করানো হচ্ছে করোনা আক্রান্ত বেশ কয়েকজন রোগীকে। গত রবিবার ওই হাসপাতালে একজন করোনা আক্রান্তের মৃত্যুও হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে লালুকে ওই হাসপাতালে রাখাটা নিরাপদ নয় বলে মনে করছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। তবে, তাঁকে অন্য হাসপাতালে সরানোর কথা না ভেবে একেবারে প্যারোলে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হেমন্ত সোরেন। লালুকে কীভাবে মুক্তি দেওয়া যায় তা নিয়ে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের পরামর্শও চেয়েছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য, সদ্য শেষ হওয়া ঝাড়খণ্ডের নির্বাচনে লালুর দল আরজেডি হেমন্ত সোরেনকেই সমর্থন করেছে। তাহলে কি লালুকে সেই সমর্থনের প্রতিদান দিতে চাইছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী? প্রশ্ন উঠছে।

J'khand CM Hemant Soren

[আরও পড়ুন: ‘দেশে পর্যাপ্ত ওষুধ ও খাবার রয়েছে’, বর্ধিত লকডাউনে দেশবাসীকে আশ্বাস স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর]

সামনেই বিহারের নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনের গতিপ্রকৃতি কী হবে তার অনেকটাই নির্ভর করবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের উপস্থিতির উপর। লালু যদি জেল থেকে ছাড়া পান, তাহলে তাঁর দল আরজেডির নেতৃত্বাধীন মহাজোট বিজেপি-জেডিইউ-এলজেপি জোটকে কড়া টক্কর দিতে পারে। আর লালু যদি মুক্তি না পান তাহলে হয়তো যোগ্য নেতৃত্বের অভাবেই শাসক শিবিরকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবে না বিরোধীরা। অন্তত বিহারের স্থানীয় রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা এমনটাই মনে করছেন। সেজন্যই হয়তো লালুপ্রসাদ যাদবকে যেনতেনপ্রকারে জেল থেকে বের করতে চাইছেন ‘বন্ধু’ হেমন্ত সোরেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement