Advertisement
Advertisement

Breaking News

Jharkhand

ঝাড়খণ্ডে রাজনৈতিক ‘নাটক’ অব্যাহত, এবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করলেন বিধায়করা

বিধায়করা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, সোরেনের ইস্তফা দেওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।

Jharkhand political crisis: UPA MLAs meet Governor। Sangbad Pratidin
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:September 1, 2022 7:09 pm
  • Updated:September 1, 2022 7:09 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অব্যাহত ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) রাজনৈতিক ‘নাটক’। এবার রাজ্যপাল রমেশ বাইসের সঙ্গে রাজভবনে গিয়ে দেখা করল রাজ্যের ইউপিএ জোটের বিধায়কদের প্রতিনিধি দল। তবে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন (Hemanta Soren) সেই দলে ছিলেন না বলেই জানা যাচ্ছে। কংগ্রেস ইতিমধ্যেই পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, সোরেনের ইস্তফা দেওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।

রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি বান্ধু তিরকে বৃহস্পতিবারের বৈঠক সম্পর্কে জানিয়েছেন, ”রাজ্যপাল আশ্বাস দিয়েছেন আর দু’দিনের মধ্যে পরিস্থিতি পরিষ্কার হয়ে যাবে। তাঁর কাছে আমরা জানতে চেয়েছি কী করে কিছু বিশেষ তথ্য এভাবে ফাঁস হয়ে গেল। তিনি দাবি করেছেন, তাঁর অফিস থেকে কোনও খবর বাইরে যায়নি।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘মানবতার সঙ্গে কোনও আপস নয়’, আগাম দুর্গাপুজোর সূচনায় বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর]

উল্লেখ্য, খনি দুর্নীতি মামলায় ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের (Hemant Soren) অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন রিপোর্ট পেশ করার পর থেকেই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, খারিজ হয়ে যেতে পারে তাঁর বিধায়ক পদ। এই পরিস্থিতির সুবিধা নিয়ে বিজেপি তাঁর সরকারে থাকা বিধায়কদের যাতে সরিয়ে না নিতে পারে, তাই তাঁদের নিয়ে প্রতিবেশী রাজ্য ছত্তিশগড়ে গিয়ে রয়েছেন হেমন্ত।

উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই নির্বাচন কমিশন তাদের শুনানি শেষ করে। মঙ্গলবার রাজ্যপাল রমেশ বাইসের কাছে তাঁর মতামত চাওয়া হয়। সূত্রানুসারে, পরের দিন রাজ্যপাল পরদিন ওই রিপোর্টটি পান। নিশিকান্ত দুবে টুইট করে জানিয়ে দেন, রাজ ভবনে পৌঁছে গিয়েছে কমিশনের রিপোর্ট। এদিকে এর আগে সোরেনের দল জেএমএম অভিযোগ করেছিল তাঁদের ১২ জন বিধায়ককে ভাঙাতে চাইছে বিজেপি। যদিও বিজেপি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

[আরও পড়ুন: স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড প্রত্যাখ্যান ব্যাংকের, ঋণ না পেয়ে হতাশায় আত্মঘাতী নার্সিং ছাত্রী]

৮১ সদস্যের ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় জেএমএম বিধায়ক ৩০ জন। এছাড়াও কংগ্রেসের ১৮ বিধায়ক ও একজন আরজেডি বিধায়ক রয়েছেন সরকারে। ইতিমধ্যেই বিজেপি দাবি করেছে, হেমন্ত সোরেনের উচিত নৈতিক দিক বিবেচনা করে নির্বাচনের দিকে যাওয়া। এখনই বিধানসভা ভেঙে ৮১টি কেন্দ্রেই নির্বাচন হোক। সব মিলিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, মহারাষ্ট্রের পথে হেঁটে ঝাড়খণ্ডেও একই ‘খেলা’ খেলতে পারে বিজেপি। এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাজভবনে গেলেন বিধায়করা। এদিনের সাক্ষাতের পর পরিস্থিতি কোনদিকে গড়ায় আপাতত সেদিকেই তাকিয়ে ওয়াকিবহাল মহল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement