Advertisement
Advertisement

Breaking News

Hemant Soren

সুপ্রিম কোর্টে বড় স্বস্তি হেমন্ত সোরেনের, হাই কোর্টের তদন্তের নির্দেশিকায় স্থগিতাদেশ

খনি দুর্নীতি ও আর্থিক তছরুপের অভিযোগে তদন্ত চালাচ্ছে ED।

Jharkhand Chief Minister Hemant Soren Relief From Supreme Court In Mining Case | Sangbad Pratidin
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:November 7, 2022 12:48 pm
  • Updated:November 7, 2022 2:11 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খনি দুর্নীতি (Mine Scam) ও আর্থিক তছরুপের মামলায় বড় স্বস্তি ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের (Jharkhand CM Hemant Soren) জন্যে। জনস্বার্থ মামলায় হেমন্তের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল ঝাড়খণ্ড হাই কোর্ট (Jharkhand High Court)। সুপ্রিম কোর্ট (Supreme) ঝাড়খণ্ড আদালতের ওই নির্দেশিকায় স্থগিতাদেশ জারি করল সোমবার।

খনি দুর্নীতির ও আর্থিক তছরুপের মামলায় সম্প্রতি হেমন্ত সোরেনকে (Hemant Soren) তলব করেছিল ইডি (ED)। যদিও তদন্তকারী সংস্থার দপ্তরে হাজিরা দেননি তিনি। উলটে অভিযোগ করেন, আদিবাসী মুখ্যমন্ত্রীকে হেনস্তা করার ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি। হাজিরা না দিয়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন সোরেন। চ্যালেঞ্জ ছোড়েন, “যদি আমি দোষী হয়ে থাকি, তাহলে আপনারা আমাকে প্রশ্ন করছেন কেন? ক্ষমতা থাকলে আমাকে সোজা গ্রেপ্তার করে ফেলুন।” অভিযোগ করেন, “গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত ঝাড়খণ্ড সরকারকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি। সেই জন্যই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। আমি ইডি, সিবিআইকে ভয় পাই না। সাংবিধানিক সংস্থাগুলির অপব্যবহার করে বিরোধীদের কন্ঠস্বর দাবিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।” এর মধ্যেই স্বস্তির সংবাদ পেলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। একটি জনস্বার্থ মামলার ভিত্তিতে ঝাড়খণ্ড হাই কোর্ট খনি দুর্নীতির মামলায় হেমন্তের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশে দিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট সোমবার ঝাড়খণ্ড আদালতের ওই নির্দেশের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ দিল। শীর্ষ আদালতের নির্দেশের পরেই সংক্ষিপ্ত টুইট করেন হেমন্ত সোরেন। লেখেন, সত্যমেব জয়তে, সত্যের জয়। এই সঙ্গে আদালতের রায় তুলে দেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: আর্থিকভাবে অনগ্রসরদের জন্য সংরক্ষণ বৈধ, ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের]

উল্লেখ্য, খনি দুর্নীতির মামলায় চাপে ছিলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যে তাঁর বিধায়ক পদ কেড়ে নেওয়ার সুপারিশ করেছে নির্বাচন কমিশন। যদিও ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল এখনও এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেননি। অন্যদিকে মহারাষ্ট্রের আদলে এই রাজ্যেও অপারেশন লোটাস চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছিল বিজেপির বিরুদ্ধে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে টাকা সমেত ধরা পড়েন ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়ক। তবে শেষ পর্যন্ত সরকার টিকিয়ে রাখতে পেরেছিলেন হেমন্ত।

[আরও পড়ুন: পরপর দু’দিন নিম্নমুখী দেশের কোভিড গ্রাফ, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হাজারেরও কম]

এর আগে এই মামলায় ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ পঙ্কজ মিশ্র-সহ (Pankaj Mishra) আরও দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছিল ইডি। জুলাই মাসে খনি দুর্নীতির তদন্তে রাজ্যের একাধিক ঠিকানায় অভিযান চালায় ইডি। সেই সময় পঙ্কজ মিশ্রের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১১ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকার হদিশ মেলে বলে দাবি ইডির। ওই অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়। এছাড়াও পঙ্কজের বাড়ি থেকে নগদ ৫ কোটি ৩৪ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেন তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। ওই সময় পঙ্কজের বাড়িতে বেশ কয়েকটি চেক মেলে, যেগুলিতে হেমন্ত সোরেনের স্বাক্ষর ছিল

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement