প্রতীকী ছবি।
সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: কয়েকদিন আগেই কাশ্মীর উপত্যকায় ভেস্তে গিয়েছে ভয়াবহ নাশকতার ছক। নিরাপত্তারক্ষীদের তৎপরতায় বানচাল হয়েছে পুলওয়ামাকে ফের রক্তাক্ত করার চেষ্টা। তবে বিপদ কিন্তু এখনও কাটেনি। উপত্যকায় এখনও আরও দু’টি ফিদায়েঁ হামলার পরিকল্পনা রয়েছে জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের (Jaish-e-Mohammed)। এমনটাই সতর্কবার্তা দিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলি।
নিরাপত্তা মহলে উদ্বেগ জাগিয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, জম্মু ও কাশ্মীরে সব মিলিয়ে মোট তিনটি গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা জইশের। এর মধ্যে গত মে মাসের ২৮ তারিখ পুলওয়ামায় (Pulwama) একটি বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি বাজেয়াপ্ত করে নিরাপত্তাবাহিনী। তারপর বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সেটিকে নিষ্ক্রিয় করা হয়। ফলে পাক মদতপুষ্ট জেহাদি সংগঠনটির প্রথম প্রয়াস বিফল হয়। কিন্তু এখনও ঢাল নামিয়ে রাখার সময় হয়নি। এই মুহূর্তে উপত্যকায় সক্রিয় রয়েছে জঙ্গিরা। যে কোনও মুহূর্তে ফের নাশকতা ঘটানোর চেষ্টা করেতে পারে তারা। গোয়েন্দাদের দাবি, এবার শ্রীনগর, কুলগাম ও নওগামে বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি নিয়ে হামলা চলতে পারে জঙ্গিরা। এছাড়াও, শোপিয়ান জেলায় পুলিশকর্মীদের অপহরণ করার চেষ্টায় করতে পারে সন্ত্রাসবাদীরা।
উল্লেখ্য, পুলওয়ামা ২.০-র নেপথ্যে ছিল পাক বোমা বিশেষজ্ঞ আবদুল রহমান ওরফে ফৌজি ভাই। গত বুধবার পুলওয়ামায় এক সংঘর্ষে ওই কুখ্যাত জঙ্গিকে খতম করে সেনা, সিআরপিএফ ও কাশ্মীর পুলিশের একটি যৌথবাহিনী। তার মৃত্যুতে কাশ্মীরে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনটি বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে। পাশাপাশি উপত্যকায় সেনাবাহিনী বড়সড় সাফল্য পেয়েছে বলেও মন্তব্য করেন পুলিশ প্রধান। জইশ-ই-মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহারের ভাইপো সে। আফগানিস্তানের লড়াইয়েও শামিল হয়েছিল সে। বিশ্লেষকদর মতে, এহেন কুখ্যাত জঙ্গিকে কাশ্মীরে পাঠিয়ে ভারতীয় বাহিনীর উপর পরপর আত্মঘাতী হামলার ছক ছিল পাকিস্তানের। ২০১৭ সালেই পাকিস্তান থেকে জম্মু-কাশ্মীরে অনুপ্রবেশ করে আবদুল। তারপর বেশ কয়েকমাস ধরে স্থানীয় জেহাদিদের সঙ্গে মিলে সেনাবাহিনীর উপর আত্মঘাতী হামলার পরিকল্পনা করে সে। যদিও শেষমেশ তা ভেস্তে যায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.