ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একান্নবর্তী পরিবারেই সহাবস্থান। কিন্তু ‘তুতো’ সম্পর্কের ছোট বোনটির মেধার সঙ্গে পাল্লা দিতে পারছে না কোনও দাদাই। একে বয়সে ছোট, তার উপর পরিবারের কন্যা সন্তান। তাই বোনের এই সাফল্য মেনে নিতেই যত সমস্যা। মেধায় পাল্লা দিতে না পারলে রইল বাকি পুরুষের পেশীশক্তি। তারই প্রয়োগ করল চার ‘তুতো’ দাদা। আর তাদের সেই অপকর্মে মদত দিলেন স্কুলেরই এক শিক্ষক।
ঘটনাস্থল উত্তরপ্রদেশের সীতাপুর। সেখানে সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের ঘরে নিয়ে গিয়ে অজ্ঞান করে অষ্টম শ্রেণির মেধাবী ওই ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তারই চার ‘তুতো’ সম্পর্কের দাদা ও এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। শুধু গণধর্ষণ করেই থামেনি। গোটা ঘটনার ভিডিও করে তা পরিবারের সদস্যদের হোয়াটসঅ্যাপে পোস্টও করেছে বলে অভিযোগ। এরপরই গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। শনিবার পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন ১৬ বছরের ওই ছাত্রীর অভিভাবকরা। যদিও এই ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। মহোলি থানার পুলিশকে দেওয়া বয়ানে নিগৃহীতা জানিয়েছে, এই প্রথম নয়৷ এর আগে গত দু’বছর ধরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানে ওই চার দাদার হাতে তাকে ধর্ষিত হতে হয়েছে।
গত শুক্রবার স্কুলে এক সঙ্গে টিফিন খাওয়ার জন্য স্কুলের মাঠে তাকে দাদারা ডাকে। খাবার ভাগ করেও দেয়। সেই খাবার খেতে খেতেই জ্ঞান হারায় সে। তারপর তার আর কিছু মনে নেই। যখন জ্ঞান ফেরে তখন দেখে স্কুলের শিক্ষকদের ঘরে শুয়ে আছে। শারীরিক যন্ত্রণাই জানিয়ে দেয়, সে ফের ধর্ষিত হয়েছে। কিন্তু এবারও লোকলজ্জার ভয়ে চুপ করে থাকে ওই নাবালিকা। কিন্তু রাতেই বাড়ির বয়োজ্যেষ্ঠদের মোবাইলের হোয়াটসঅ্যাপে ঢুকতে শুরু করে ধর্ষণের ভিডিও। তখনই বিষয়টি তার বাবা-মা জানতে পারেন। সেই সঙ্গে ধর্ষণের স্থান ও ধর্ষকদের পরিচয়ও প্রকাশ হয়ে যায়।
মেয়ের সঙ্গে হওয়া এই অন্যায়ের বিচার পেতে তাঁরা পুলিশের দ্বারস্থ হন। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, প্রতি বছরই পরীক্ষায় প্রথম হয় ওই নাবালিকা। মেধার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পেরে না ওঠায় ছোট বোনের উপর শারীরিক অত্যাচার চালাত ওই চার দাদা। তাতেও বোনের অধ্যাবসায় ও মনের জোরের সঙ্গে মোকাবিলা করতে না পেরে অবশেষে পরিবার ও পরিচিত মহলে বোনকে হেনস্তা করতেই ধর্ষণের ভিডিও পোস্ট করে অভিযুক্তরা। সেই সঙ্গে তারা আশা করেছিল, পরিবারের মেয়ে ধর্ষিতা হয়েছে জেনে অভিভাবকরা হয়তো তার পড়াশোনা বন্ধ করে দেবেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.