সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তামিলনাড়ুর সদ্য প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার রাজনৈতিক জীবন ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই৷ অথচ তাঁর চলে যাওয়াই যেন মেনে নিতে পারছেন না তামিলনাড়ুর মানুষ৷ তাঁর মৃত্যুতে যেন অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে গোটা রাজ্য৷
অনেকেরই প্রশ্ন, আম্মাকে নিয়ে এমন তীব্র আবেগ কেন দক্ষিণ ভারতের মানুষের? দক্ষিণ ভারতের পুরুষতান্ত্রিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে জয়ার রাজনৈতিক উত্থান সহজ ছিল না৷ কিন্তু বিচক্ষণ রাজনৈতিক নেত্রীর থেকে জনদরদি আম্মাকে হারিয়েই যেন কাতর তামিলনাড়ুর সাধারণ মানুষ৷
তামিলনাড়ুর দরিদ্র মানুষের সেবায় তিনি যেন ছিলেন সদাজাগ্রত৷ জয়ার উপকার পেয়ে পথের ভিখারি থেকে আইনজীবী হয়ে ওঠার এমন অকল্পনীয় গল্পই শোনালেন ৩২ বছরের নাগরত্না৷ আম্মার চলে যাওয়ার শোকে চোখের জল ফেলতে ফেলতে বললেন, “আমি আমার আম্মাকে হারিয়েছি৷ যিনি আমার ভবিষ্যৎ গড়ে দিয়েছিলেন৷ কিন্তু দুর্ভাগ্য৷ আমি শেষবারের মতো দেখা করে ওঁকে ধন্যবাদ পর্যন্ত জানাতে পারলাম না৷”
প্রসঙ্গত, রাস্তায় ভিক্ষা করে নাগরত্নার পরিবার জীবিকা নির্বাহ করত৷ স্থানীয় স্কুলে পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণি অবধি লেখাপড়াও করেছিলেন৷ শত কষ্টের মধ্যেও ছোট্ট মেয়েটির এই চেষ্টার কথাই জানতে পেরে গিয়েছিলেন আম্মা৷ সচেতন অভিভাবকের মতো তাঁকে ১ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন৷ বলেছিলেন, নিজের পছন্দ মতো লেখাপড়া করতে৷ সেই টাকা গচ্ছিত রেখেই লেখাপড়া করেছিলেন নাগরত্না৷ মাইসুরুর মহাজন ল’ কলেজ থেকে আইন পড়ে বর্তমানে প্রতিষ্ঠিত আইনজীবী তিনি৷
বহু বছর আগে আম্মার সঙ্গে দেখা হওয়ার সেই ১৫ মিনিটই এখন নাগরত্নার কাছে সবচেয়ে মধুর স্মৃতি৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.