Advertisement
Advertisement

টানা রোগভোগের পর প্রয়াত শশীকলার স্বামী এম নটরাজন

আম্মা জয়ললিতার সঙ্গে স্ত্রী শশীকলার পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন নটরাজনই।

Jayalalitha aide Sasikala's husband M Natarajan passes away
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:March 20, 2018 9:08 am
  • Updated:August 9, 2019 4:46 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:  টানা চারদিন রোগভোগের পর চেন্নাইয়ের হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন এম নটরাজন। তিনি সাজাপ্রাপ্ত এইএডিএমকে নেত্রী শশীকলার স্বামী। মঙ্গলবার রাত ১.৩৫ মিনিটে এম নটরাজনের মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। বুকে একাধিক সংক্রমণ নিয়ে গত শনিবার তাঁকে গ্লেনেগেলস গ্লোবার হেলথ সিটি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। তারপর থেকে সেখানেই এম নটরাজনের চিকিৎসা চলছিল। প্রথম থেকেই শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাঁকে আইসিউতে রাখা হয়েছিল। পরে পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে এম নটরাজনকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। সেখানেই এদিন রাত দেড়টা নাগাদ কর্তব্যরত চিকিৎসকদের সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে মৃত্যুলোকে যাত্রা করেছেন এই বর্ষীয়ান সাংবাদিক।

[লিঙ্গায়তকে আলাদা ধর্ম হিসাবে স্বীকৃতি, মোক্ষম চাল সিদ্দারামাইয়ার]

প্রথম জীবনে তামিলনাড়ু সরকারের জনসংযোগ কর্তার পদে ছিলেন নটরাজন মুথুরাপ্পা। এমনিতে সমাজকর্মী হিসেবে তাঁর যথেষ্ট পরিচিতি রয়েছে। সরকারি দায়িত্ব থেকে অবসর নেওয়ার পর নিজেই একটি ম্যাগাজিন সম্পাদনা শুরু করেন। নাম ‘পুথি পারাভি’। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা তামিলনাড়ুর আম্মা জয়ললিতার সঙ্গে স্ত্রী শশীকলার পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন নটরাজনই। তিনি নিজে প্রথম সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেন। পরে শশীকলা স্বামীর নির্দেশনায় ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হয়ে ওঠেন তামিলবাসী আম্মা-কেন্দ্রিক রাজনীতিতে। তবে একটা সময় প্রবল মতবিরোধের জেরে এম নটরাজনকে দল থেকে বহিষ্কার করেছিলেন জয়ললিতা। একইভাবে বহিষ্কৃত হন শশীকলাও। যদিও পরে ছায়াসঙ্গী শশীকলাকে দলে ফিরিয়ে নিয়েছিলেন জয়ললিতা।

Advertisement

উল্লেখ্য, আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন সম্পত্তি রাখার অপরাধে চার বছরের কারাদণ্ডের সাজা পেয়েছেন শশীকলা। তামিলবাসীর আম্মা জয়ললিতার মৃত্যুর পরেই রাজনৈতিক শূন্যতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তামিলনাড়ু। এমতাবস্থায় দলীয় কোন্দলের জেরে শশীকলার কীর্তিকাহিনী প্রকাশ্যে আসে। গত বছর ফেব্রুয়ারি থেকে বেঙ্গালুরুর পারাপ্পানা আগ্রাহার জেলেই দিন কাটছে শশীকলার। গত অক্টোবরেই জরুরি ভিত্তিতে প্যারোলে মুক্তি পেয়েছিলেন তিনি। সেই সময় স্বামী এম নটরাজনের কিডনির প্রতিস্থাপন হয়। তারপর থেকে একপ্রকার সুস্থই ছিলেন এম নটরাজন। তবে মাসখানেক ধরে বুকে সংক্রমণ জনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি।

সূত্রের খবর, জনগণের শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের সুবিধার্থে বেসান্ত নগরের বাসভবনেই তাঁর মরদেহ শায়িত থাকবে। পরে এম নটরাজনের পরলৌকিক ক্রিয়া সম্পাদন হবে তাঁর জন্মস্থান তাঞ্জাভুর জেলার গ্রামে। তবে স্বামীর শেষকৃত্যে স্ত্রী শশীকলার উপস্থিতি বাঞ্ছনীয়। সেইজন্য প্যারোলে মুক্তির চেষ্টাও শুরু হয়েছে। এম নটরাজনের মৃত্যুতে তাঁদের ৩৩ বছরের বিবাহিত জীবনের সমাপ্তি ঘটল।

[ক্ষমা চাওয়ার হিড়িক, গড়কড়ির কাছেও চিঠি কেজরিওয়ালের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement