সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক সপ্তাহের মধ্যেই সুরবদল! আর জি কর ইস্যুতে জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘উদাসীন’ ভূমিকায় রীতিমতো কড়া সমালোচনা করেছিলেন। গোটা ঘটনায় তিক্ততা এতটাই বেড়েছিল যে দল এবং দলের পদ ছেড়েও দেন। কিন্তু এক সপ্তাহ না কাটতেই ঘুরে গেলেন তৃণমূলের সদ্য প্রাক্তন রাজ্যসভার সদস্য জহর সরকার। শনিবার মুখ্যমন্ত্রী জুনিয়র চিকিৎসকদের ধরনামঞ্চে যেতেই তারিফ করলেন তিনি। সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লিখলেন একটিই শব্দ – ‘বাঃ’। তার নিচে নিজের আগেকার সমালোচনামূলক পোস্টটিও জুড়েছেন জহর সরকার।
বাঃ।
মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা শেষ (৮ সেপ্টেম্বর) চিঠিতে আমি বলেছিলাম:
“আমি গত একমাস ধৈর্য ধরে আর জি কর হাসপাতালের ঘৃণ্য ঘটনার বিরুদ্ধে সবার প্রতিক্রিয়া দেখেছি আর ভেবেছি আপনি কেন সেই পুরানো মমতা ব্যানার্জীর মত ঝাঁপিয়ে পড়ে সরাসরি জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলছেন না।”
🙏🏽 pic.twitter.com/YoVsVZFy4T— Jawhar Sircar (@jawharsircar) September 14, 2024
শনিবার X হ্যান্ডলে মুখ্যমন্ত্রীর ধরনামঞ্চে যোগদান নিয়ে পোস্ট করেছেন জহর সরকার। সেখানে তিনি লেখেন, ”বাঃ। মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা শেষ (৮ সেপ্টেম্বর) চিঠিতে আমি বলেছিলাম: “আমি গত একমাস ধৈর্য ধরে আর জি কর হাসপাতালের ঘৃণ্য ঘটনার বিরুদ্ধে সবার প্রতিক্রিয়া দেখেছি আর ভেবেছি আপনি কেন সেই পুরানো মমতা ব্যানার্জীর মত ঝাঁপিয়ে পড়ে সরাসরি জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলছেন না।” আজকের পর তাঁর এই অভিযোগ একেবারে নস্যাৎ হয়ে যায়। তা বুঝেই প্রসার ভারতীর প্রাক্তন সিইও-র এই পোস্ট বলে মনে করা হচ্ছে।
যদিও ইতিমধ্যেই জহর সরকার তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার দিল্লি গিয়ে উপরাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তারও আগে যখন মমতার ভূমিকাকে দুষে ইস্তফার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তখন দলনেত্রী নিজে তাঁকে ফোন করে অনুরোধ জানান। কিন্তু তাতে নিজের সিদ্ধান্ত বদলাননি জহরবাবু। বরং পরিস্থিতি কিছুটা নরম করতে মমতাকে জানিয়েছিলেন, তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন। তবে শনিবারের পর হয়ত তাঁর নতুন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চেনা হল। সোশাল মিডিয়ায় ওই একটি শব্দই তার প্রমাণ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.